অতীত ফিরে দেখলেন লতা।
একাধিক জাতীয় পুরস্কার, পদ্মভূষণ, দাদা সাহেব ফালকে, ভারত রত্ন— এ সবই রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কথিত আছে, তাঁর কণ্ঠে বিরাজ করেন স্বয়ং সরস্বতী। কিন্তু জানেন কি, কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকারের সংগীত জগতে শুরুর দিকটা ঠিক কেমন ছিল?
স্মৃতিতে ডুব দিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন লতা স্বয়ং। তিনি লিখলেন, ’১৬ ডিসেম্বর, ১৯৪১। আমার ঈশ্বরতুল্য দাদা এবং বাবার আশীর্বাদ নিয়ে আমি প্রথম বার রেডিয়োতে দু’টি গান গেয়েছিলাম। আজ ৮০টা বছর পার হয়ে গেল। এই ৮০ বছর মানুষের অপরিসীম ভালবাসা এবং আশীর্বাদ পেয়েছি। আশা করি, আগামী দিনেও এ ভাবেই আপনারা আমার সঙ্গে থাকবেন।’ এই লেখার সঙ্গেই শৈশবের একটি সাদা-কালো ছবি জুড়ে দিয়েছেন লতা।
চল্লিশের দশকে গায়িকা হিসেবে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন লতা। বাবা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর সংগীতের জগতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার রাস্তা মসৃণ ছিল না মোটেই। ১৯৪২ সালে একটি মরাঠি ছবিতে গান গেয়েছিলেন ১৩ বছরের লতা। কিন্তু পরবর্তীতে সেই ছবি থেকে বাদ পড়ে তাঁর গান। কটাক্ষের মুখে পড়েন কন্ঠস্বর নিয়ে। তবে সব বিপত্তি কাটিয়ে সুগায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নিজেকে। প্রায় ৮ দশক ধরে নানা ভাষায় গান গেয়েছেন। পুরষ্কার এসেছে সাফল্যের হাত ধরে।
শুধু তাই নয়। লতার গানে আপ্লুত ছিলেন স্বয়ং জওহর লাল নেহরু। ১৯৬৩ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে তাঁর কণ্ঠে ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কে লোগো’ গানটি শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।