রাগ করেই বলিউড ছাড়েন লারা দত্ত!
‘বিল্লু’, ‘ভাগম ভাগ’, ‘নো এন্ট্রি’, ‘হাউসফুল’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি তাঁর ঝুলিতে। ইদানীং চুটিয়ে অভিনয় করছেন ওটিটি সিরিজে। অথচ মাঝের বেশ কয়েকটা বছর বড় পর্দা থেকে প্রায় গায়েবই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ড-সুন্দরী লারা দত্ত। বলিউডের উপর রাগ করেই নাকি ছবি করা ছেড়েছিলেন! সপাটে বললেন একদা হিন্দি ছবির ব্যস্ত অভিনেত্রী।
২০০৩ সালে অক্ষয়কুমার ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে ‘আন্দাজ’-এ তাঁর বলিউডের সফর শুরু। তার পরে প্রায় এক দশক পরপর ছবি করে গিয়েছেন লারা। ‘আন্দাজ’ তো বটেই, লারা সাফল্যের মুখ দেখেন ‘খাকি’, ‘মস্তি’, ‘নো এন্ট্রি’, ‘পার্টনার’, ‘বিল্লু’, ‘হাউসফুল’-সহ একগুচ্ছ ছবিতে। কমেডি ছবিতে ভাল অভিনয়ের হাত ধরে দিব্যি জায়গা করে নেন দর্শক মনেও। কিন্তু সেই লারা-ই ২০১৫ থেকে ছবি কমাতে কমাতে বড় পর্দা থেকে প্রায় উধাও। দু’বছরের বেশি সময় পর্দা থেকে পুরোপুরি দূরে থেকে আবার একটু একটু করে অভিনয়ে ফিরছেন টেনিস তারকা মহেশ ভূপতির ঘরনি। তবে এ বারেও মূলত ওটিটি সিরিজেই। বহু দিন পরে ২০২১-এ শুধুমাত্র একটি ছবিতেই দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফের প্রথম নায়ক অক্ষয়কুমারের সঙ্গেই জুটি বেঁধে, ‘বেলবটম’-এ।
ইদানীং ওটিটি সিরিজে দেখা যাচ্ছে মহেশ ভূপতির ঘরনি লারাকে
কিন্তু কী এমন ঘটল যে বলিউড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ব্যস্ত অভিনেত্রী?
লারা জানান, মেয়ে সায়রার জন্মের পরে তাঁকে বেশি সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে তত দিনে বলিউডের উপরেও বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। আর তার পরেই বিস্ফোরক ‘বিল্লু’ ছবিতে শাহরুখ খান, প্রয়াত ইরফান খানের সহ-অভিনেত্রী। বলেছেন, “নায়কের প্রেমিকা বা স্ত্রীর চরিত্র করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আসলে তখনকার বলিউডে নায়িকার চরিত্র থাকত স্রেফ ছবির গ্ল্যামার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। তাঁদের ভূমিকা হত নায়কের সুন্দরী প্রেমিকা বা স্ত্রী হওয়া। তা করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই ছবি করাই কমিয়ে দিই। ভাগ্যিস এই সময়ে কয়েকটা কমেডি ছবিতে করেছিলাম। সাফল্যও এসেছিল। বলিউডে ওটুকুই আমার ভাল লাগার স্মৃতি।”
এখন ওটিটিতে ফিরেছেন লারা। ‘হানড্রেড’-এ পুলিশ অফিসার, ‘হিকাপস অ্যান্ড হুকআপস’-এ একাকী মা, ‘কউন বনেগি শিখরবতী’তে এক পাগলা রাজার কন্যা— এক একটি সিরিজে এক এক রকম স্বাদের চরিত্রে আশ মিটিয়ে অভিনয় করছেন। নিজেই বলছেন, গত দেড় বছরে যত কাজ করেছেন, আগের ছ’বছরে তার চেয়ে কমই করেছিলেন। তেতাল্লিশ বছরের অভিনেত্রীর এখন এটুকুই তো চাওয়া!