Holi Festival

দোলে দেহ ক্যামেরা ব্যবহারে জোর দিতে নির্দেশ পুলিশ বাহিনীকে

ছোট-বড় যে কোনও ঘটনা দ্রুত কন্ট্রোল রুমে জানানোর কথা বলেছে লালবাজার। বৃহস্পতিবার প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৫
Share:
মনোজ বর্মা।

মনোজ বর্মা। —ফাইল চিত্র।

দোল ও হোলিতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের ‘বডি-ক্যাম’ অর্থাৎ দেহ ক্যামেরা ব্যবহারে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। পাশাপাশি, ছোট-বড় যে কোনও ঘটনা দ্রুত কন্ট্রোল রুমে জানানোর কথা বলেছে লালবাজার। বৃহস্পতিবার প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে বৈঠকে এই নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল।

Advertisement

প্রতি বছর দোল ও হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে শহরে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। মত্ত এবং বেপরোয়া চালকদের দৌরাত্ম্যের জেরে একাধিক দুর্ঘটনার উদাহরণ রয়েছে গত কয়েক বছরে। এ বছর এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশকর্মীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি, এক গুচ্ছ নির্দেশিকা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নগরপালের সেই নির্দেশে দেহ ক্যামেরা ব্যবহারের উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাস্তার পাশাপাশি দোলের দিনে থানাতেও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের দেহে ক্যামেরা লাগিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোর করে যাতে কোনও ভাবে কেউ কাউকে রং লাগাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, মহিলাদের নিরাপত্তায় বাড়তি জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। লালবাজারের তরফে থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কোনও ছোট ঘটনা যে কোনও মুহূর্তে বড় ঝামেলার আকার নিতে পারে। তাই রঙের উৎসবে ছোট কোনও ঘটনা ঘটলেও তা দ্রুত কন্ট্রোল রুমে জানাতে বলা হয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, যে যে এলাকায় অতীতে একাধিক ঝামেলা বা গোলমালের ইতিহাস রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজর রাখা হবে। পাশাপাশি লালবাজারের তরফে নজর রাখা হবে সমাজমাধ্যমেও।

রাস্তাতেও বাড়তি সতর্কতা রাখছে লালবাজার। মত্ত বাইকচালকদের দৌরাত্ম্য রুখতে রাস্তায় প্রায় ২৮০০ পুলিশকর্মী নামানো হচ্ছে। এ ছাড়া, সহকারী নগরপাল এবং উপ-নগরপাল পদমর্যাদার আধিকারিকেরা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। পথের বিধি ভাঙা আটকাতে আজ, শুক্রবার এবং কাল, শনিবার শহর জুড়ে একাধিক মোড়ে নাকা তল্লাশি করা হবে। দোলের দিন গঙ্গার ঘাটগুলিতে ভিড় বাড়ে। তাই সেখানেও থাকছে সতর্কতা। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, শহরের ৬৬টি ঘাটে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এর মধ্যে গঙ্গার ৪৪টি ঘাটে পুলিশের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া গঙ্গায় রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ নজরদারি চালাবে। মত্ত অবস্থায় যাতে কোনও ভাবে কেউ স্নান করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে।

Advertisement

লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘নির্বিঘ্নে যাতে রঙের উৎসব পালন করানো যায়, তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আটকাতে পুলিশ প্রস্তুত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement