প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের সমর্থন করলেন লারা দত্ত। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর তরফে জানানো হয়, আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে জানানো হবে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মনমোহন সিংহের একটি বক্তব্য স্মরণ করিয়ে দেন, “দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের।” এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে লারা জানালেন, অন্যরা দ্বিমত পোষণ করলেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য পেশ করতে পিছপা হন না।
“দিনের শেষে আমরা সকলে মানুষ। সব সময় সকলকে খুশি রাখা সম্ভব নয়। যদি আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ট্রোলিংয়ের হাত থেকে রেহাই না পাই, তবে দেশের প্রধানমন্ত্রীও তাই”, বললেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে এ নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেন এমন কথা বললেন তিনি? নেপথ্যের কাহিনিতে আসা যাক।
সম্প্রতি হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কোন শ্রেণির হাতে কত সম্পদ আছে, তা আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা করে দেখবেন। সেই বক্তব্যকে টেনে এনে বাঁশওয়াড়ায় মোদী বলেছিলেন, ‘‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ অতীতে বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সর্বাগ্রে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সমীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে কংগ্রেস। যাতে দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া যায়।’’
এর পরে উত্তরপ্রদেশের আলগড়ে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের নজর আপনার সম্পত্তির উপরে রয়েছে। ক্ষমতায় এলে এরা মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে।’’
নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যকে বাহবা দিয়েছেন বলি-অভিনেত্রী। তাঁর মতে, মানুষ যেটা বিশ্বাস করেন সেটা দৃঢ় ভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ করার ক্ষমতা থাকা উচিত। তিনি বলেন, “যা সত্যি, আপনি যা বিশ্বাস করেন, তার সঙ্গে কখনও আপস করা উচিত নয়। নির্দ্বিধায় বলা উচিত।” তিনি আরও বললেন, “একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অসন্তুষ্ট করতে চাই না বলে, সব সময় রেখেঢেকে আমি অন্তত কথা বলতে পারব না।”