কোন কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চলছে?
বক্স অফিসে ভরাডুবি। একেবারেই ব্যবসা করতে পারছে না আমির খানের ‘লাল সিংহ চড্ডা’। ছবি মুক্তির দ্বিতীয় দিনে দেশ জুড়ে ১৩০০ শো বাতিল করেছেন বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষ। তবে তৃতীয় দিনে একটু আশার আলো!
শনিবার ছবির সংগ্রহে ৮.৭৫ কোটি টাকা। যা আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। অঙ্কটা ৪০ শতাংশ হলে কিছুটা পুষিয়ে যেত। তবু এই গ্রাফ বাড়তেও বিষয়টা নজরে আনলেন তরণ আদর্শের মতো চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশারদরা। সব মিলিয়ে এখন অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত ছবির আয় ২৭.৭১ কোটি টাকা।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পূর্ব পঞ্জাব থেকেই মূলত ৪০ শতাংশ আয় হচ্ছে ছবির। অন্য দিকে মহারাষ্ট্র, গুজরাতের প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ বিপরীত।
শনিবার, বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শও টিকিট কাউন্টারে ছবিটির পারফরম্যান্স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ছবিটির দু'দিনের সংগ্রহের তথ্য পেশ করে দেখিয়েছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, শনিবার থেকে সোমবার (যার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের ছুটিও অন্তর্ভুক্ত) আরও ভাল ব্যবসা করা ছবিটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বহু মানুষ একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ছবি বয়কট করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সে কারণেই এতটা প্রতিকূল পরিস্থিতি বলে মনে করছেন নির্মাতারা।
যদিও ‘লাল সিংহ চড্ডা’ নিয়ে ভিন্ দেশি প্রতিক্রিয়া এসেছে ভালই। টম হ্যাঙ্কস অভিনীত ১৯৯৪-এর ‘ফরেস্ট গাম্প’ অনুসরণে নির্মিত বলিউড ছবিটিকে অস্কারের নিজস্ব পেজে সম্মান জানানো হয়েছে শনিবার।
অ্যাকাডেমির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ক্লিপ শেয়ার করা হয়েছে, যাতে দেখানো হয়েছে, কী ভাবে ভারতীয় সংস্করণেও অস্কারজয়ী আসল ছবির জাদুকে পুনরায় জীবন্ত করে তোলা হয়েছে।
অ্যাকাডেমির পোস্টে ‘লাল সিংহ চড্ডা’-র ভিডিয়োটির ক্যাপশনে দুই ছবির তুলনা টেনে লেখা ছিল, ‘‘রবার্ট জেমেকিস এবং এরিক রথের সেই গল্প। যেখানে সরল, সাধারণ এক মানুষ দুনিয়া বদলে দিয়েছিল। অভিনয়ে টম হ্যাঙ্কস। আর এ দিকে অদ্বৈত চন্দন এবং অতুল কুলকার্নির ‘লাল সিংহ চড্ডা’-য় সেই ভূমিকায় আমির খান।’’ উপরে ছিল দুই ছবির করমর্দনের ইমোজি।