Entertainment News

কেন্দ্রে প্রবীণ আদর্শবান শিক্ষক, আজ থেকে নতুন ধারাবাহিক ‘কুঞ্জছায়া’

গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন এক প্রবীণ মাস্টারমশাই। এই কেন্দ্রীয় চরিত্রে শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁর চরিত্রটি কেমন?

Advertisement

মৌসুমী বিলকিস

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ১৬:৪৪
Share:

‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।

আজ, সোমবার ছোট পর্দায় আসতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক ‘কুঞ্জছায়া’। ধারাবাহিকটি দেখা যাবে স্টার জলসায়।

Advertisement

গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন এক প্রবীণ মাস্টারমশাই। এই কেন্দ্রীয় চরিত্রে শঙ্কর চক্রবর্তী। তাঁর চরিত্রটি কেমন?

শঙ্কর চক্রবর্তী বললেন, “আমার চরিত্রটা নায়কের দাদু। দাদুই হচ্ছে গল্পের মূল স্তম্ভ। দাদু চাকরি করতেন, রিটায়ারমেন্টের বয়স হয়ে গেছে, কিন্তু স্কুল তাঁকে ছাড়েনি। তিনি শুধু স্কুলের হেডমাস্টার নন, সারা গ্রামই তাঁর কথায় চলে আর কি... এ রকম একটা চরিত্র। গ্রামের বিভিন্ন বিষয়ে... কোথায় বাঁধ ভেঙে গেছে, কোথায় কী হচ্ছে... ছেলেমেয়েদের শরীরচর্চা... সবটাই তিনি দেখেন। বাইরেটাকে তিনি নিজের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে পেরেছেন। কিন্তু বাড়িতে এসে দেখেন, সবটাই উল্টো হয়ে আছে। তিনি কি বাড়িটাকেও আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে পারবেন? এটা নিয়েই গল্প।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘মেরে খাবো মে যো আয়ে’র ভিডিয়ো টুইট করলেন অমিতাভ, কেন জানেন?

গল্পের নায়িকা শালিক (পল্লবী দে)। নায়িকার সঙ্গে দাদুর চরিত্রর সংযোগ কী ভাবে হচ্ছে? শঙ্করের কথায়: “ওই গ্রামেই। ওর বাবা ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চাইতো, কিন্তু ছেলে ক্রিকেট খেলতে চাইতো না। ছেলেটা হারিয়ে যায়। তার পর থেকে ওর বাবা অ্যালকোহলিক হয়ে যায়, সারা দিন মদ খেয়ে পড়ে থাকে। ওই মেয়েটাকে দাদুই কোলেপিঠে করে মানুষ করে এবং দাদু যখন শহরে আসে মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে আসে।”

‘কুঞ্জছায়া’ ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। —নিজস্ব চিত্র।

সোমরাজ ও পল্লবী দে-র সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগছে? শঙ্করের কথায়: “সোমরাজের সঙ্গে আমি আগেও কাজ করেছি। আমার ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছিল (‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’)। এখন ও আমার নাতি। পল্লবীর সঙ্গে প্রথম কাজ করছি। ভাল, মিষ্টি মেয়ে, সুন্দর কাজ করে।”

আরও পড়ুন: অনিতা রাজ, আশির দশকের সুন্দরী এই নায়িকা এখন কী করছেন জানেন?

আপনার চরিত্রটি ঠিক কী রকম? ধারাবাহিকের নায়িকা পল্লবী দে শেয়ার করলেন, “আমার চরিত্র চটপটে এক দুরন্ত মেয়ে। কিন্তু ভেতরে অনেক দুঃখ আছে, যেটা সবার সামনে ও প্রকাশ করে না। একমাত্র মাস্টারদাদুর কাছেই নিজের সুখদুঃখ শেয়ার করে। মাস্টারদাদুর কাছে প্রকাশ না করলেও চোখমুখ দেখে দাদু বুঝে যায়। সে ভীষণ ম্যাচিয়োরড।”

শঙ্কর চক্রবর্তী আপনার সহ-অভিনেতা। কেমন লাগছে? পল্লবী: “উনি অনেক সিনিয়র। অবভিয়াসলি কাজ করে অনেক কিছু শিখতে পারছি।”

আর সোমরাজ? পল্লবী বলছেন, “সোমরাজ... হি ইজ গুড। এখনও পর্যন্ত ওর সঙ্গে তেমন সিন হয়নি। কিন্তু আমরা মেকআপ রুমে আড্ডাফাড্ডা দিচ্ছি (হাসি)।”

আগে কী কী কাজ করেছেন পল্লবী? তিনি জানালেন, তাঁর প্রথম কাজ ‘তবু মনে রেখ’। তার পর ‘রেশম ঝাঁপি’, ‘আমি সিরাজের বেগম’, আর এখন এই ‘কুঞ্জছায়া’।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস, ইউনাইটেড কিংডম থেকে সোমরাজ পড়াশোনা করেছেন। বিষয় ছিল ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং। কী চরিত্র করছেন সোমরাজ? তিনি বললেন, “আমার চরিত্রের নাম ঈশান, ঈশান সান্যাল। ছেলেটা হচ্ছে এই মুহূর্তে বাংলার আপকামিং ক্রিকেটার। এই লাস্ট সিজনে প্রিমিয়ার লিগে খুব ভাল ফল করেছে। বাংলা থেকে ইন্ডিয়ান টিমে এক জনই চান্স পেতে পারে, সে ঈশান। এটাই হল ঈশানের এই মুহূর্তের স্ট্যাটিস্টিকস।”

এই চরিত্রর মানসিক গঠন ঠিক কেমন?

সোমরাজ: “ঈশান দাদুরই একটা কাউন্টার পার্ট, মানে দাদুরই মডার্নাইজ ভার্সন। আজকের দিনের রিলেটেবল ছেলে... যেটা হোয়াইট সেটা হোয়াইট, যেটা ব্ল্যাক সেটা ব্ল্যাক ওর কাছে। বাড়ির লোকেরাও যদি খারাপ কিছু করে ও দু’বার ভাবে না, মুখের ওপর বলে দেয়। হি ইজ দ্যাট কাইন্ড অব আ ক্যারেক্টার। স্টেট ফরোয়ার্ড, ইন্টেলিজেন্ট, ভাল ছেলে।”

চরিত্রটা করতে কেমন লাগছে? সোমরাজ: “অনেক বেটার। কারণ এই চরিত্রের সঙ্গে নিজের একটা মিল পাই। প্রোবাবলি পার্টলি নিজেকেই হয়তো পোট্রে করছি। ইটস লাইক দ্যাট।”

আপনার আগের কাজ? সোমরাজ জানাচ্ছেন, “প্রথম লিড করেছি ‘গৌরিদান’-এ। তার পর ‘টেক্কা রাজা বাদশা’, ‘এই ছেলেটা ভেল ভেলেটা’ করেছি।”

কেন দর্শকদের এই ধারাবাহিক ভাল লাগবে বলে আপনি মনে করেন?

শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়: “ভাল লাগবে, কারণ একটা সমাজ তো অবক্ষয়ের পথে... মূল্যবোধগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। সেই মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনার গল্প। সেখানে দাঁড়িয়ে বয়স্ক মানুষ এবং ইয়ং জেনারেশন, দু’পক্ষেরই ভাল লাগবে।”

পল্লবী বললেন, “দর্শক আমাকে আগে দেখেছে লুৎফা ক্যারেক্টারে। তো লুৎফা যে রকম নম্র ভদ্র, শালিক ঠিক তার অপোজিট। দর্শকের আমাকে অন্যরকম ভাবে দেখার সুযোগ আছে। শালিক আর পার্সোনালি পল্লবীর খুব একটা তফাৎ নেই। আমি বলব যে, কেউ যদি পল্লবীকে চিনতে চায় তা হলে শালিককে চেনা উচিত।”

সোমরাজ যোগ করলেন, “গল্পটা এখানে খুব ভাল। আই অ্যাম রিয়েলি হোপফুল... এটা মানুষকে খুব ভাল করে কানেক্ট করবে।”

সোমরাজ: “টেলিভিশনে গল্পটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। গল্পটা এখানে খুব ভাল। আই অ্যাম রিয়েলি হোপফুল... মানে এটা মানুষকে খুব ভাল করে কানেক্ট করবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement