Satyajit ray

চা-স্ন্যাক্স আর ফেলুদা মাখা বিকেলের সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা

শহর কলকাতা সাক্ষী হয়ে থাকল এমনই এক ফেলুদাময় বিকেলের। ২১, রজনী সেন রোডের বাসিন্দা সিগারেট হাতে চেনা ভঙ্গিতে কি আড়ালে দেখলেন সব কিছু?

Advertisement

বিহঙ্গী বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:১৮
Share:

শিল্পী-সত্যজিৎ রায়।

না, ২১ রজনী সেন রোড নয়, গড়পারের বাড়ি থেকে অ্যাম্বাসাডর নিয়ে লালমোহন গাঙ্গুলীও নামলেন না সেখানে। সন্তোষপুরের এক চিলতে জায়গায় ছোট্ট ক্যাফে। আর সেখানেই রবিবার ভিড় জমালেন এ শহরের ‘সিধু জ্যাঠারা’। শুধুমাত্র ফেলুদাকে ভালবেসে ছুটির দিনের ভাতঘুম আর আরাম ফেলে ফেলুদাপ্রেমীদের নিয়ে বসল প্রশ্নোত্তরের আসর।

Advertisement

অনুষ্ঠানের নামও মগজাস্ত্র। চা-স্ন্যাক্স সহযোগে শুরু হল প্রশ্নবাণ। কুইজ মাস্টার সোমনাথ চন্দের ছোড়া প্রশ্নে তখন প্রতিযোগীদের মধ্যে চাপা টেনশন, উত্তেজনা। হাজার হোক ‘ফেলুদা’ বলে কথা। বাঙালির আবেগ জড়িয়ে পরতে পরতে। প্রতিযোগীরাও যথেষ্ট তৈরি। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। হাজার কঠিন প্রশ্নও কুপোকাত করতে পারল না তাঁদের। ষোল থেকে ষাট-ওই অনুষ্ঠানই যেন বুঝিয়ে দিল ফেলুদাকে ভালবাসার কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই।

উদ্যোক্তাদের তরফে শ্রেয় বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “গত বছরেই আমরা প্রথম এই জার্নি শুরু করি। ভাল সাড়া পেয়েছিলাম। তাই এই বছরেও আমরা হাজির।” তবে শুধুই বাঙালির ফেলুদাপ্রেম পরখ করাই কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। ক্যানসার সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই অভিনব অনুষ্ঠানে উদ্যোগী হয়েছিল আয়োজক সংস্থা।

Advertisement

কুইজ মাস্টার সোমনাথ চন্দের ছোড়া প্রশ্নে তখন প্রতিযোগীদের মধ্যে চাপা টেনশন, উত্তেজনা

আরও পড়ুন-যদি বলতাম ঐন্দ্রিলা আপনি বড় অভিনেত্রী, তা হলে আমার চাকরি যেত না: জয়

অনুষ্ঠানের শরিক হয়ে খুশি কুইজ মাস্টারও। তাঁর কথায়, “আসলে বাঙালি মানেই তো ফুটবল আর ফেলুদা। সবাই এত তৈরি হয়ে এসেছেন এখানে। বেশ ভাল লাগছে।” শহর কলকাতা সাক্ষী হয়ে থাকল এমনই এক ফেলুদাময় বিকেলের। ২১, রজনী সেন রোডের বাসিন্দা সিগারেট হাতে চেনা ভঙ্গিতে কি আড়ালে দেখলেন সব কিছু?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement