Interview

উৎসবের এই কলকাতা আমার অচেনা: জুহি চাওলা

এত ছবি রিলিজ করে কলকাতায় পুজোয়! ও মাই গড! আমরা তো মুম্বইয়ে ভাবতেও পারি না! খুব ভাল লাগল শুনে।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ২০:২৫
Share:

কলকাতায় পুজোর উদ্বোধনে ভক্তদের সঙ্গে।—নিজস্ব চিত্র

পুজো উদ্বোধনে তাঁর কেকেআর বাহিনী নিয়ে একদিনের সফরে তিনি কলকাতায়। তাঁকে ঘিরে জনতার স্রোত। আজও ‘কেয়ামৎ সে কেয়ামৎ তক’-এর মধুঢালা কণ্ঠস্বরে। চেহারায় যুবতী। কলকাতা ছাড়ার আগে বিমানবন্দর থেকে আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে নতুন ছবি আর নারীশক্তি নিয়ে অকপট জুহি চাওলা।

Advertisement

আপনাকে ঘিরে এত উচ্ছ্বাস কেমন লাগল?

Advertisement

এ তো পুরো অন্য কলকাতা। বাতাসে উৎসবের গন্ধ। সারা শহর পোস্টারে মোড়া। কত লোক। সবাই আলোতে ঝলমল করছে। সেজেগুজে। কিছু ফিল্মের পোস্টারও দেখলাম।

এ বারে পুজো উপলক্ষে কলকাতায় চারটে ছবি মুক্তি পেয়েছে। জানেন?

নাহ তো! আর একটু বলুন না আমায় ছবি নিয়ে প্লিজ...

(তাঁকে জানানো হয় ‘গুমনামী, পাসওয়ার্ড, মিতিনমাসি’, ‘সত্যাণ্বেষী ব্যোমকেশএই নতুন চার ছবির কথা)

এত ছবি রিলিজ করে কলকাতায় পুজোয়! ও মাই গড! আমরা তো মুম্বইয়ে ভাবতেও পারি না! খুব ভাল লাগল শুনে।

জুহি চাওলাকে তাঁর ভক্তরা কবে দেখবে ছবিতে?

হুমম! দেখবে দেখবে, খুব শিগগিরি দেখবে। আমি আর ঋষি কপূর ছবি করছি একটা। চিঙ্কুজি বলেছে আমায়, এ ছবিতে খুব মিষ্টি একটা চরিত্র আমার। সম্পর্কের গল্প। নাম এখনও ঠিক হয়নি।

আরও পড়ুন: শ্রাবন্তীর বরই নাকি ‘সব চেয়ে সেরা রিকশাওয়ালা’! আপনি জানতেন?

প্রযোজনার কথাও নাকি ভাবছেন?

হ্যাঁ। কিছু চিত্রনাট্য পড়া হচ্ছে। বাছাই চলছে। তবে সবটাই মরাঠী ছবিকে ঘিরে।

রবিন উথাপ্পাদের সঙ্গে জুহি।—নিজস্ব চিত্র।

দুর্গাপুজো উদ্বোধন করলেন। মায়ের কাছে কী চাইলেন?

এখন মায়ের কাছ থেকে কিছু চাই না। মাকে উল্টে ধন্যবাদ দিই। পুজো চলছে আমি এখন এটাই সকলকে বলতে চাই। মা আমাদের অনেক দিয়েছেন। আচ্ছা আপনি বলুন আমায়, আপনার নিশ্চয়ই পরিবার আছে?

আরও পড়ুন: দুর্গার সামনে ইনি কিন্তু এক বলিউড নায়ক! চিনতে পারছেন এঁকে?

আছে।

ভাবুন তো, আমরা সবাই পরিবার পেয়েছি। বন্ধু পেয়েছি। খিদে পেলে খাবারের থালা পেয়েছি। সন্তান পেয়েছি। কাজ করার ক্ষমতা পেয়েছি। প্রয়োজনে কিছু ইচ্ছে হলে টাকা খরচ করার সুযোগ পেয়েছি। সম্মান পেয়েছি। আর কী চাইব বলুন তো? শুধু আমি নয়, এই কথাগুলো অনেক অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই খাটে। আমরা এ ভাবে ভাবতে পারি না। ভাবি এগুলো তো পাবই! এই ভাবনার বদল চাই আমি কলকাতাবাসীর কাছ থেকে। দুর্গা মা আমাদের শক্তি।

এত বড় আয়োজন এই মাতৃশক্তিকে ঘিরে। অথচ আমাদের সারাক্ষণ নারীর ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিতে হয়। কী বলবেন?

দেখুন, আমি মনে করি মেয়েরা শক্তি নিয়ে জন্মায়। তাদের আলাদা করে শক্তির প্রয়োজন হয় না। এক জন মেয়ে চাকরি করলেই কেবল সে ‘এমপাওয়ার্ড’ হয় এটা আমার মনে হয় না। আমাদের পৃথিবীই তো মা, আমরা তো ‘ফাদারল্যান্ড’ বলি না। ‘মাদারল্যান্ড’ বলি। আর একটা কথা বলি, মেয়েরা চাইলে গোটা একটা ইন্ডাস্ট্রি একা চালাতে পারে। আর ছেলেদের দু’দিন সংসার চালাতে দিন। পারবে না। একা হাতে সংসার? ছেলেদের পক্ষে অসম্ভব! মেয়েরা শক্তি নিয়েই জন্মায়। তাই তো দুর্গাপুজো। আর তাই আমি জগৎ মুখার্জি পার্কে আপনাদের পুজোতে এলাম। এটা সম্পূর্ণ ইকো ফ্রেন্ডলি পুজো। খুব ভাল লাগল। একটা মজার বিষয় দেখলাম। বলি?

নিশ্চয়ই...

আমি কলকাতায় আসি কেকেআর-এর খেলার জন্য। আজ দেখলাম কলকাতার সব জায়গা উৎসবের আলোয় ঝকঝক করছে। ইডেন গার্ডেন্স ক্রস করছিলাম, দেখলাম চারদিক শান্ত নিঝুম! মনে হল এ কোন ইডেন গার্ডেন্স? আমি তো আসি, এই মাঠকেই উৎসবের আলোয় সাজতে দেখি আর অন্য কলকাতাকে কম আলোতে দেখি! আজ উল্টো হল।

কলকাতার কোনও স্পেশাল খাবার খেলেন?

নাহ্। আমার উপোস চলছে। আমি আজ সারাদিন কলা খেয়েই কাটিয়ে দিলাম।

ফ্লাইটের অ্যানাউন্সমেন্ট হয়ে গেল। উঠে পড়লেন নায়িকা। কানে বেজে উঠল তাঁর ‘হাম হ্যায় রাহি প্যার কে’ ছবির গান, ‘ঘুংঘট কি ইরসে দিলবরকা...’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement