অনেক সময় সামান্য ভুলের জন্য অনেক বড় মাসুল গুনতে হয়। অভিনেতা বিজয় রাজ দোষী ছিলেন কি না বা তাঁর অপরাধ কতটা, তা এখনই স্পষ্ট নয়। কিন্তু বেশ বড় মাসুল দিতে হল তাঁকে।
২২ দিন টানা শ্যুট করার পর একটি ফিল্ম থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজয়কে। যার নেপথ্যে তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ।
অভিযোগ করেছেন তাঁরই এক সহ-অভিনেত্রী। সম্প্রতি ওই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে ‘শেরনি’ নামে এক ফিল্মের শ্যুটিংয়ের সময়। ওই ফিল্মের মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বিদ্যা বালন।
১৯৬৩ সালে দিল্লিতে জন্ম বিজয়ের। কলেজে পড়ার সময় থেকেই টুকটাক অভিনয় করতেন। লক্ষ্য ছিল বলিউড। তাই কলেজে পড়া শেষ করেই দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তি হন।
সেখানে তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হন নাসিরুদ্দিন শাহ। নাসিরুদ্দিনের ডাকে বিজয় মুম্বইয়ে চলে আসেন। প্রিয় অভিনেতা নাসিরুদ্দিনের সুপারিশেই বিজয়ের বলি ডেবিউ।
১৯৯৯ সালে মহেশ মথাইয়ের ফিল্ম ‘ভোপাল এক্সপ্রেস’-এ সুযোগ পেয়ে যান বিজয়। নাসিরুদ্দিন তাঁর হয়ে সুপারিশ করেছিলেন পরিচালক মীরা নায়ারের কাছেও।
মীরা নায়ার তাঁর ফিল্ম ‘মনসুন ওয়েডিং’-এ বিজয়কে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। ‘মনসুন ওয়েডিং’ বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল।
তবে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ প্রথম আসে ‘রঘু রোমিও’-তে। ক্রমে কমেডিয়ান হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বিজয়।
২০০৪ সালের ফিল্ম ‘রন’-এ কমেডিয়ান হিসাবে তিনি প্রশংসিত হন। আবার ২০১১ সালের ‘দিল্লি বেলি’তে গ্যাংস্টার হয়েও দর্শকদের প্রশংসা কুড়োন।
যে কোনও ধরনের অভিনয়েই সাবলীল বিজয়। প্রচুর ফিল্ম করেছেন। সামনে তাঁর আরও দুটি ফিল্ম মুক্তি পাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই ‘শেরনি’ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।
সহ-অভিনেত্রীর দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যুটিং চলাকালীন বিজয়কে গ্রেফতারও করা হয়। যদিও একইদিনে জামিন পন তিনি।
কিন্তু পরিচালক অমিত মসুরকর তাঁর ফিল্ম নিয়ে কোনও আলোচনা বা সমালোচনা শুনতে চান না বলে বিজয়কে ফিল্ম থেকে সরিয়ে দেন। তাঁর বদলে অন্য অভিনেতাকে আনার কথা চলছে।
এর আগেও একবার গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজয়। ২০০৫ সালে আবু ধাবি বিমানবন্দরে গাঁজা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে সেই ঘটনা তাঁর অভিনয় জীবনে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা বিজয়ের কেরিয়ারে ছাপ ফেলে দিল।