প্রথম দেখাতেই বড় অদ্ভুত লেগেছিল সচিনকে। ঘর ভর্তি লোকের সামনে যেচে এসে রক্সন্দাকে অপমান করেছিলেন সচিন।
সে দিন থেকেই ঠিক করে ফেলেছিলেন কোনওদিন এই লোকটার সঙ্গে আর মিশবেন না। কিন্তু কে আর জানত, এই লোকটাই একদিন তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠবে!
সচিন ত্যাগী আর রক্সন্দা খান। বলিউডের জনপ্রিয় দুই মুখ। সচিন গান করতে ভালবাসতেন। আর রক্সন্দা জনপ্রিয় ছিল অভিনয়ের জন্য।
দুজনের পরিচয় ইন্দোনেশিয়ায়। একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এক প্রমোটারই দুজনকে ওই অনুষ্ঠানে পাঠিয়েছিলেন।
সেই অনুষ্ঠানে হঠাৎ একদিন রক্সন্দাকে অপমান করে বসেন সচিন। রক্সন্দা সে দিন যে পোশাক পরেছিলেন, তাতে যে তাঁকে খুব খারাপ লাগছে, সবার সামনে রক্সন্দাকে বলে বসেন তিনি।
খুব খারাপ লেগেছিল রক্সন্দার, আর কোনওদিন ওই লোকের মুখোমুখি হবেন না ঠিক করেছিলেন। কিন্তু তখন কী আর জানতেন যে, একদিন তাঁর সঙ্গেই সারাজীবন কাটানোর অঙ্গীকার করতে হবে!
২০১৪ সালে সচিন-রক্সন্দার বিয়ে হয়। তাঁদের বিয়েতে মত ছিল না রক্সন্দার পরিবারের। মুসলিম পরিবারে জন্ম রক্সন্দার আর সচিন হিন্দু। ধর্মীয় কারণ তো ছিলই, তার পাশে আবার সচিনের এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল।
প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই সন্তানও ছিল। এ সব জানার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের মাথায়। এমন ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে! কখনও নয়, রক্সন্দাকে জানিয়ে দিয়েছিল পরিবার।
পরিবারের কথা রাখবে, নাকি নিজের মনের কথা শুনবে! সেই সময়টা খুব ধন্দে পড়েছিলেন তিনি। সচিনও সব সিদ্ধান্ত তাঁর উপরই ছেড়ে দিয়েছিলেন।
শেষে ভালবাসারই জয় হল। পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে সচিনের সঙ্গেই সংসার পাতলেন তিনি। ২০১৪ সাল থেকে একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। সুখী পরিবার। এক সন্তানও রয়েছে।
এক সময়ে সচিনের মতো মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের জন্য সেই প্রমোটারকে দুষেছিলেন , আজ তাঁকেই ধন্যবাদ দেন রক্সন্দা।