Sandhya Mukhopadhyay

‘এসো মা লক্ষ্মী...’ গানের ইতিহাস জানেন! সন্ধ্যা থেকে অদিতির গলায় পাঁচ দশক ধরে কেন জনপ্রিয়?

বাংলা ছবি ‘দাবি’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে। পরিচালক ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ছবিতেই গানটি গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ১৮:১০
Share:

পাঁচ দশক ধরে সমান জনপ্রিয় এই গান।

‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে। আমার এ ঘরে থাকো আলো করে।’ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে বাঙালির মুখে মুখে ঘোরে এই গান। এই লাইন দু’টি কিন্তু গানের শুরু নয়। এটি দ্বিতীয় পঙক্তি। গানের শুরুটা, ‘শঙ্খ বাজিয়ে মা কে ঘরে এনেছি, সুগন্ধি ধূপ জ্বেলে আসন পেতেছি। প্রদীপ জ্বেলে নিলাম তোমায় বরণ করে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে।’

Advertisement

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গলায় বাঙালি এই গান শুনতে অভ্যস্ত হলেও এই প্রজন্মের শিল্পী অদিতি মুন্সির গায়কীও সমান ভাবে গ্রহণ করেছে। আবার বাংলার গৃহবধূ থেকে খ্যাতনামীরাও এই গান গুনগুন করেন। কিন্তু কী আছে এই গানের বাণীতে? কোন সুরের জাদু এমন ভাবে টিকিয়ে রেখেছে এই গানকে?

দাবি ছবির গানের রেকর্ড।

অনেকে মনে করেন এই গান সন্ধ্যা রেকর্ড করেছিলেন কোনও পুজোর অ্যালবামে। কিন্তু আদতে এটি একটি চলচ্চিত্রের গান। বাংলা ছবি ‘দাবি’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৪ সালে। পরিচালক ছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি মুক্তির কয়েক বছর পরেই ১৯৭৮ সালে মৃত্যু হয় ধীরেন্দ্রনাথের। ‘দাবি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অসিত বরণ, বিকাশ রায়, সমিত ভঞ্জ। ছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রানি।

Advertisement

ছবিতে ‘এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে’ ছাড়াও ছিল ছ’টি গান। সন্ধ্যা ছাড়া গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র। সুরকার ছিলেন হেমন্তের ছোট ভাই অমল মুখোপাধ্যায়। গানটি লিখেছিলেন, মিল্টু ঘোষ। আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা চেনালেন গীতিকার মিল্টুকে। বললেন, ‘‘খুব ভাল মানুষ। অনেক দিন যোগাযোগ নেই। অসুস্থ শুনেছি। আমিও ওঁর লেখা অনেক গান গেয়েছি। আসলে এই গানটা সন্ধ্যাদির গলায় বিখ্যাত হয়ে গেলেও কথার গুরুত্বও অনেকখানি। আসলে মাকে ঘরে ঢাকার যে আকুতি গানের কথায় রয়েছে সেটাও কালজয়ী হয়ে ওঠার পিছনে অনেক বড় কারণ।’’

একই কথা বলছেন অদিতি। বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক গায়িকা অদিতি বলেন, ‘‘আমি অনেক অনুষ্ঠানেই এই গানটা গাই। বাড়ির লক্ষ্মীপুজোতেও। আসলে এই গানটার কথাগুলোর মধ্যে এত ভক্তি, এত আকুতি মিশে আছে যে মনের কথা হয়ে ওঠে। এটা মনে হয় সবার কাছে। সেই কারণেই পাঁচ দশক ধরে মানুষের মুখে মুখে এই গান। শ্রোতারাও শুনতে চান আমার কাছে।’’ শুধুই কি এই কারণেই একটা ছবির গান ধর্মীয় হয়ে উঠেছে? অদিতি বলেন, ‘‘আসলে এটাই তো বাংলার সম্পদ। স্বর্ণযুগের গানে এমন অনেক আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এটা তার মধ্যে একটা। এমন গানই তো গীতিকার, সুরকার, শিল্পীদের নিজের সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement