কিরণ রাও। ছবি-সংগৃহীত।
শুধু আমির খানের প্রাক্তন স্ত্রী নন, তিনি যে একজন সফল পরিচালক তা 'ধোবি ঘাট' বা ‘লাপতা লেডিস’ ছবির মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছেন কিরণ রাও। কেরিয়ারের শুরুতে নানা ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিরণের। বহু ছবিতে সহ-পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু, একটা সময় মুম্বইতে থাকা তাঁর পক্ষে বেশ কঠিন ছিল। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন কিরণ।
মুম্বইয়ের ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য একই সময়ে একাধিক কাজ করতেন কিরণ। তিনি বলছেন, ‘‘আমার কাছে যা কাজ আসত, আমি করতাম। যত ক্ষণ পর্যন্ত টাকা পেতাম, আমি কাজটা করতাম। তার পরে আবার পরবর্তী কাজ খুঁজতাম। বাড়ি ভাড়া নিলে হাতে কোনও টাকা থাকবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হত।’’
বহু লড়াইয়ের পরে শেষ পর্যন্ত ‘লগান’ ছবি থেকে মোড় ঘুরতে থাকে। যদিও কিরণ জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনের ছবিতে কাজ করেই মূলত রোজগার করতেন তিনি। কিরণের কথায়, ‘‘বড় ছবির জন্য বিশেষ টাকা পেতাম না। মুম্বইতে থাকার জন্য যে পরিমাণ টাকার দরকার, তা মূলত আসত বিজ্ঞাপনের ছবি থেকে।’’ বিজ্ঞাপনে কাজ করে যে টাকা পেয়েছিলেন, তা থেকেই নিজের জন্য কম্পিউটার ও একটি গাড়ি কিনতে পেরেছিলেন বলেও জানান কিরণ।
‘লাপতা লেডিস’-এর পরিচালক মনে করে জানান, নিজের জন্য কেনা প্রথম জিনিসটি হল তাঁর সেই গাড়ি। তবে নতুন গাড়ি কিনতে পারেননি তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বাবার থেকে একটা গাড়ি কিনেছিলাম। ১ লক্ষ টাকায় বাবা আমায় গাড়িটি বিক্রি করেছিলেন। এমন কখনও শুনেছেন?’’ অর্থের মূল্য বোঝানোর জন্যই তাঁর বাবা এমন করতেন বলে জানিয়েছেন কিরণ।
‘লগান’ ছবিতে সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করার সময়ও বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল তাঁকে। পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকরের এই ছবিতে কাজ করার সময়ে বেশ ভয়ে ভয়ে থাকতেন তিনি। এমনকি বকুনিও খেয়েছেন বহু সময়। অবশেষে ২০১০ সালে ‘ধোবি ঘাট’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন তিনি।