Politics

কীর্তনের মাইক ‘বন্ধ’ পুলিশের,  শুরু রাজনীতি

শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহরের পুরাতন পোস্টঅফিস পাড়ার ওই ঘটনায় সমাজমাধ্যমে কীর্তন ‘বন্ধের’ অভিযোগ তোলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির নিখিলরঞ্জন দে।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫ ০৮:১৪
Share:
ঘটনাস্থলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি।

ঘটনাস্থলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। —নিজস্ব চিত্র।

কীর্তনের মাইক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ, এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম হল কোচবিহার জেলার রাজনীতি। শুক্রবার রাতে কোচবিহার শহরের পুরাতন পোস্টঅফিস পাড়ার ওই ঘটনায় সমাজমাধ্যমে কীর্তন ‘বন্ধের’ অভিযোগ তোলেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির নিখিলরঞ্জন দে। সমাজমাধ্যমে পাল্টা বার্তা দিয়ে গুজব না-ছড়ানোর আর্জি জানান তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। শনিবার দুপুরে কীর্তনের আসরেও যান তিনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে কোচবিহার শহরের পুরাতন পোস্টঅফিস পাড়ায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও কীর্তনের আসর বসে। পুলিশের দাবি, অনুষ্ঠান-স্থলের অদূরে এক বাড়ির ভাড়াটিয়া বারবার ফোন করে কীর্তনের মাইকের শব্দে তাঁর অসুবিধার কথা পুলিশকে জানান। অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাত ৩টে নাগাদ পুলিশ এসে কীর্তনের মাইক বন্ধের নির্দেশ দেয়। তার পরেই সমাজমাধ্যমের পাতায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির নিখিলরঞ্জন দে। তাঁর দাবি, পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়ায় পুলিশ কীর্তন ‘বন্ধ’ করেছে।

খানিক পরে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পাল্টা পোস্ট করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘গুজব ছড়াবেন না’। পরে শনিবার দুপুরে ওই কীর্তনের অনুষ্ঠানেও যান তিনি। অভিজিৎ সেখানে বলেন, ‘‘এটা নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। কোচবিহারের দায়িত্বশীল বিধায়ক সমাজমাধ্যমে কীর্তন বন্ধ করার কথা বলেছেন। আমি শুনলাম কীর্তন বন্ধ করতে বলেননি (পুলিশ)। শব্দ নিয়ে কারও অভিযোগ ছিল। সে জন্য তাঁরা (পুলিশ) এসেছিলেন।’’ একই সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এ ধরনের বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হওয়ার আবেদন জানান তিনি। বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য দাবি করেন, ‘‘মাইক বন্ধ মানে কীর্তন বন্ধ।’’

Advertisement

জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, কীর্তনের মাইক বন্ধ করতে বলা হয়েছে, তাও অভিযোগের জেরে। তবে কীর্তন বন্ধ হয়নি। কীর্তন যে স্বাভাবিক ভাবে চলছে তা বোঝাতে জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার পত্রিকা) ‘শেয়ার’ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘কীর্তন চলছে’।

কীর্তন কমিটির এক কর্তা বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে কম শব্দে মাইক বাজানো হচ্ছিল। তার পরে মাইকও বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement