কিঞ্জল নন্দ। ছবি: ফেসবুক।
মিছিলের পর মিছিল। আন্দোলনের পর আন্দোলন। প্রতিবাদের পর প্রতিবাদ। আলোচনার বদলে সমালোচনা। কখনও আঘাতের বদলে পাল্টা আঘাত। কিন্তু যাকে ঘিরে এত কিছু, সেই আরজি কর-কাণ্ডের সমাধান কই? মিটিং-মিছিলের পাশাপাশি ক্রমশ এই প্রশ্নও জোরালো হচ্ছে। যা শুক্রবার সমাজমাধ্যমে বলেই ফেলেছেন চিকিৎসক-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। কিঞ্জল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার পরিচিত মুখ। তিনি এ দিন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সিরিজ় ‘কাঁটায় কাটায়’-এ তাঁর অভিনীত চরিত্রের ‘লুক’ ভাগ করে নিয়েছেন। লিখেছেন, “আমি জানি এই মুহূর্তে এই ধরনের পোস্টের অনেকেই বিরোধিতা করবেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমরা কেউই এ রকম থাকতে চাই না। নতুন করে জীবনের ছন্দে ফিরতে চাই।”
আন্দোলনের ধাক্কায় আরও অনেকের মতো কি ক্লান্ত হয়ে পড়লেন কিঞ্জলও?
চিকিৎসক-অভিনেতার কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে প্রতিবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ হিসাবে উঠে এসেছেন কিঞ্জল। প্রশ্নের জবাবে তাঁর দাবি, “একটুও ক্লান্ত হইনি। কিন্তু বাড়িতে, হাসপাতাল চত্বরে, বাইরে— যেখানেই পা রাখছি সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা। একটা বিষয় নিয়ে ক্রমাগত চর্চা হতে থাকলে অনেক সময়েই মাথা কাজ করতে চায় না। উপস্থিত বুদ্ধিও কাজ করে না।” কিঞ্জলের মতে, তাঁর সঙ্গেও তা-ই ঘটছে। সেই জায়গা থেকে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিতেই তিনি তাঁর ‘প্যাশন’ অভিনয়ের কথা বলেছেন। কারণ, ‘কাঁটায় কাঁটায়’ সিরিজ়টিও অপরাধ এবং অপরাধমুক্তির কথা বলে। এবং এটি তাঁর সাম্প্রতিকতম কাজ। কিঞ্জলের যুক্তি, “একটু বিষয় পরিবর্তন না ঘটলে হতাশা গ্রাস করতেই পারে। আমাকে যেমন গ্রাস করেছে। মন এবং মাথাকেও সাময়িক বিশ্রাম দিতে হয়। বিষয়ান্তরে যেতে হয়। তবেই নতুন উদ্যমে প্রতিবাদী আন্দোলনে শামিল হওয়া যায়।”
সম্প্রতি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দেব অধিকারী তাঁদের আগামী ছবি যথাক্রমে ‘বহুরূপী’, ‘খাদান’-এর প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে এনেছেন। কিঞ্জল কি তাঁদের দ্বারাই অনুপ্রাণিত?
প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক-অভিনেতার দাবি, “আমি কারও দ্বারা অনুপ্রাণিত নই। আমার মনে হয়েছে প্রতিবাদ আর কাজ সমান্তরাল ভাবে মানুষের জীবনে থাকা উচিত। বিষয়ান্তরে যাওয়া মানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ভুলে যাওয়া নয়।” কিঞ্জল তাই প্রতি দিনের আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেবেন। প্রতিবাদী মিছিলে পা মেলাবেন। একই সঙ্গে প্রয়োজন মতো বিষয়ান্তরেও যাবেন।