টুইটারে কী লিখেছেন পরিচালক? রামুর ক্ষোভ, আইনক্স, পিভিআর হল মালিকেরা নাকি বেঁকে বসেছেন ছবি-মুক্তি নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে খুল্লামখুল্লা সমকামিতার ছবি তাঁরা দেখাবেন না। ছবি-মুক্তির আগেই রামগোপালের দাবি ছিল, আইনের ধারা ৩৭৭ হওয়ার পরেও যে ভালবাসা আজও সমাজে অস্বীকৃত তাকেই তিনি মান্যতা দিয়ে চলেছেন।
নয়না এবং অপ্সরা
শহরে শহরে প্রচার তুঙ্গে। ছুটে বেড়াচ্ছেন রামগোপাল বর্মা, নয়না গঙ্গোপাধ্যায়, অপ্সরা রানি।
৮ এপ্রিল মুক্তি পেতে চলেছে তাঁদের ‘ডেঞ্জারাস’ (খতরা)। যে ছবিতে প্রথম জায়গা করে নিয়েছে দুই নারীর প্রেম। এখানেই নাকি ঘোর আপত্তি হলমালিকদের। সমকামিতায় মাখামাখি ছবি তাঁরা দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে নারাজ। বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুক্তি পিছোতে বাধ্য হলেন পরিচালক রামু। সে কথা তিনি জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার সন্ধেয়।
টুইটারে কী লিখেছেন পরিচালক? রামুর ক্ষোভ, আইনক্স, পিভিআর হল মালিকেরা নাকি বেঁকে বসেছেন ছবি-মুক্তি নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, এ ভাবে খুল্লামখুল্লা সমকামিতার ছবি তাঁরা দেখাবেন না। ছবি-মুক্তির আগেই রামগোপালের দাবি ছিল, আইনের ধারা ৩৭৭ হওয়ার পরেও যে ভালবাসা আজও সমাজে অস্বীকৃত তাকেই তিনি মান্যতা দিয়ে চলেছেন। ছবিতে সমকামী দুই যুগলের প্রেম-হিংসা-যৌনতা-অ্যাকশন তুলে ধরেছেন তিনি। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই ছবিতে সাহসী দৃশ্য এসেছে। যাকে জীবন্ত করেছেন নয়না-অপ্সরা।
এ দিন পরিচালক আরও লেখেন, আইনি সমর্থন, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। তার পরেও সমকামিতার বিরোধিতা করার অর্থ এলজিবিটিকিউআইএ সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি অকারণ অসম্মান। যা তিনি মানতে পারছেন না। এর জন্য প্রয়োজনে তিনি আইনি পথেও হাঁটবেন।