bollywood

দ্বিতীয় বিয়ের পরেও প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন বলিউডে ব্যর্থ অভিষেকের এই নায়িকা

প্রথম ছবির মতো দ্বিতীয় ছবিতেও বলিউডে কীর্তির সুপ্রসন্ন ভাগ্য অধরাই থেকে যায়। তৃতীয় ছবিতে তিনি সুযোগ পেলেন অনিল কপূর, শিল্পা শেট্টির সঙ্গে অভিনয়ের।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ১১:০৬
Share:
০১ ১৯

বলিউডে প্রথম ছবি ছিল ‘তেরা জাদু চল গ্যয়া’। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি কীর্তি রেড্ডির জাদু। কিছু ছবির পরেই বিনোদন দুনিয়া থেকে বিদায় নেন এই নায়িকা।

০২ ১৯

অভিজ্ঞ রাজনীতিক কেশপল্লী গঙ্গা রেড্ডির নাতনি কীর্তির জন্ম ১৯৭৭ সালের ২১ জানুয়ারি। তাঁর মা ছিলেন ইন্টিরিয়র এবং ড্রেস ডিজাইনার। পরিবারে অভিনয়ের ধারা কোনও দিন ছিল না। কিন্তু কীর্তির প্রথম থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার।

Advertisement
০৩ ১৯

বেঙ্গালুরুর ‘দ্য ভ্যালি স্কুল’ এবং হায়দরাবাদের ‘সেন্ট জোসেফ পাবলিক স্কুল’ থেকে পাশ করার পরে কীর্তি পড়াশোনা করেন আমেরিকার রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

০৪ ১৯

দীর্ঘ দিন ভরতনাট্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া কীর্তি অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৯৬ সালে। প্রথম ছবি ছিল তেলুগু ভাষায় ‘গানশট’। চার বছর তামিল ও তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন কীর্তি। তার পর সুযোগ আসে বলিউডে।

০৫ ১৯

২০০০ সালে অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে ‘তেরা জাদু চল গ্যয়া’ ছবি দিয়ে বলিউড অভিযান শুরু কীর্তির। তবে ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। অভিষেক-কীর্তি জুটি বা নায়িকা হিসেবে কীর্তি—কিছুই জনপ্রিয় হয়নি দর্শকমহলে।

০৬ ১৯

ব্যর্থতার পরেও কীর্তির কাছে সুযোগ আসা বন্ধ হয়নি। ২০০১-এ তিনি অভিনয় করেন ‘প্যায়ার ইশক অউর মহব্বত’ ছবিতে। এই ছবিতে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেন সুনীল শেট্টি, অর্জুন রামপাল এবং আফতাব শিবদাসানির সঙ্গে।

০৭ ১৯

কিন্তু প্রথম ছবির মতো দ্বিতীয় ছবিতেও বলিউডে কীর্তির সুপ্রসন্ন ভাগ্য অধরাই থেকে যায়। তৃতীয় ছবিতে তিনি সুযোগ পেলেন অনিল কপূর, শিল্পা শেট্টির সঙ্গে অভিনয়ের।

০৮ ১৯

সতীশ কৌশিকের পরিচালনায় সেই ছবি ‘বধাই হো বধাই’ মুক্তি পেয়েছিল ২০০২ সালে। কিন্তু এই রোমান্টিক কমেডিও বক্স অফিসে সে রকম সাফল্য পায়নি।

০৯ ১৯

পর পর ৩ ছবিতে ব্যর্থতার পরে কীর্তিকে আর সুযোগ দেয়নি বলিউড। তিনি আবার চলে যান দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। ২০০২ সালে অভিনয় করেন কন্নড় ছবি ‘সুপার স্টার’-এ।

১০ ১৯

২ বছর পরে মুক্তি পায় কীর্তির আরও একটি তেলুগু ছবি, ‘অর্জুন’। ছবিতে কীর্তির বিপীরতে নায়ক ছিলেন মহেশ বাবু। এর পর কীর্তিকে আর কোনও ছবিতে দেখা যায়নি।

১১ ১৯

২০০৪ সালে কীর্তি বিয়ে করেন তেলুগু অভিনেতা সুমন্তকে। সুমন্তর মা ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা এবং প্রযোজক আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাওয়ের মেয়ে। সুমন্তর বাবা সুরেন্দ্র ইয়ারলাগাড্ডাও ছিলেন প্রযোজক।

১২ ১৯

সুমন্তর জন্মের আগে থেকেই তাঁর বাবা মা ছিলেন আমেরিকাপ্রবাসী। পরেও তাঁরা সেখানেই চলে যান। তবে সুমন্তকে নিজের কাছে রেখে দেন তাঁর দাদু আক্কিনেনি নাগেশ্বর রাও। কেরিয়ারের চাপে নিজের পিতৃত্ব তিনি উপভোগ করতে পারেননি। তাই নাতিকে নিজের মতো করে বড় করতে চেয়েছিলেন এই প্রবীণ অভিনেতা।

১৩ ১৯

পরবর্তীতে দাদুর মতো সুমন্তও পা রাখেন বিনোদন দুনিয়ায়। তাঁর মামা নাগার্জুন আক্কিনেনিও তেলুগু ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য নাম।

১৪ ১৯

কীর্তির সঙ্গে সুমন্তর দাম্পত্য ছিল স্বল্পস্থায়ী। বিয়ের ১ বছর পর থেকেই সম্পর্কে ফাটল। এর পর ডিভোর্স ২০০৬-এ।

১৫ ১৯

তবে, বিচ্ছেদের পরেও দু’জনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় আছে। ডিভোর্স নিয়ে কীর্তি কোনও দিন মুখ খোলেননি। সুমন্ত জানিয়েছেন, তাঁদের মানসিকতার মিল ছিল না। তাই দু’জনে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন।

১৬ ১৯

বিচ্ছেদের পরে সুমন্ত আর বিয়ে করেননি। কীর্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর পরিচয় সেভাবে কোনও দিন সংবাদমাধ্যমে আসেনি। শোনা যায়, তিনি আমেরিকাপ্রবাসী চিকিৎসক।

১৭ ১৯

বিয়ের পর কীর্তিও আমেরিকায় ছিলেন বলে কিছু সূত্রে শোনা যায়। তবে তাঁর প্রাক্তন স্বামী সুমন্ত জানিয়েছেন, ২ সন্তানের মা কীর্তি এখন বেঙ্গালুরুবাসী ব্যস্ত গৃহিণী। তাঁর সঙ্গে মাঝে মাঝে কথাও হয় বলে দাবি সুমন্তর।

১৮ ১৯

২০১৯ সালে ডিজাইনার শিল্পা রেড্ডির সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কীর্তির ভাই প্রীতম। ঘটনাচক্রে শিল্পা খুবই ঘনিষ্ঠ আক্কিনেনি পরিবারের সঙ্গে। সেই সূত্রে বিয়েতে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সুমন্তও।

১৯ ১৯

দীর্ঘ দিন পরে ওই বিয়ের আসরে একইসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন সুমন্ত ও কীর্তি। তাঁদের সেলফিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন কীর্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement