ভারতসুন্দরী হওয়া মানেই বলিউডে পা রাখা, এই চেনা স্রোতের বিপরীতে পাড়ি দিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম কবিতা ভম্ভানী।
১৯৬৯ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জেতেন কবিতা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিস ইউনিভার্সের মঞ্চেও। কিন্তু তার পরেও তিনি পা রাখেননি বলিউডে।
কবিতার বাবা ভম্ভানী সিংহ ছিলেন স্টেট ব্যাঙ্কের কর্মী। কবিতার থেকে তাঁর বোন সুনীতা বয়সে প্রায় ১৪ বছরের ছোট।
ভারতসুন্দরী হওয়ার পরে কিছুদিন মডেলিং করেছেন কবিতা। তবে খুব তাড়াতাড়ি মডেলিং দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে তিনি পা রাখেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং-য়ে।
৬৯ বছর বয়সি কবিতা এখন দেশের প্রথম সারির ইন্টেরিয়র ডিজাইনার এবং শিল্পসংগ্রাহক। তাঁর স্বামী যশজিৎ সিংহ শিল্পপতি।
কবিতা নিজে রুপোলি দুনিয়া থেকে সরে থাকলেও টিনসেল টাউন তাঁর কাছেই রয়েছে। কবিতার বোন সুনীতা অনিল কপূরের ঘরনি। অনিল-সুনীতার মেয়ে সোনমও প্রতিষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিতে।
সুনীতাও তাঁর দিদির মতো মডেলিং করতেন। অনিল কপূরকে বিয়ের সময় তিনি ছিলেন প্রথম সারির মডেল। অনিলের তুলনায় তাঁর জনপ্রিয়তা সে সময় অনেক বেশি ছিল।
সুনীতা কাজ করেছেন ফ্যাশন স্টাইলিস্ট হিসেবেও। এমনকি, অনিল কপূরের দু’টি সিনেমা ‘লোফার’ ও ‘জুদাই’-তে তাঁকে দেখাও গিয়েছিল বিশেষ ভূমিকায়।
কিন্তু দাম্পত্য এগোতেই সুনীতা পুরোপুরি কাজের দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। অন্য দিকে, কবিতা বরাবরই বজায় রেখেছেন তাঁর পেশাগত পরিচয়।
যশজিৎ-কবিতার দুই মেয়ে, প্রিয়া ও নন্দিনী। তাঁদের বড় মেয়ে প্রিয়া এক জন পরিচিত পশুপ্রেমী। গত বছর রণবীর বাত্রার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় লন্ডনে।
তাঁর আগে প্রিয়ার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল আশিস মেহবুবানির সঙ্গে। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আশিসের মৃ্ত্যু হয়।
তার পর অনুপম খেরের ছেলে সিকন্দরের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল প্রিয়ার। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যেত তাঁদের বিয়ের গুঞ্জনও। এর পর গুঞ্জন সত্যি প্রমাণিত হয়। এনগেজমেন্ট হয়ে যায় সিকন্দর-প্রিয়ার।
কিন্তু অল্প কয়েক দিনের মধ্যে ভেঙে যায় সিকন্দর-প্রিয়া সম্পর্কও। কেন তাঁরা সম্পর্ক থেকে সরে এসেছেন, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু’জনেই।
শাশুড়ি হওয়ার পরেও কবিতা আগের মতোই গ্ল্যামারাস। বাকি ভারতসুন্দরীদের চেনা ছন্দে গা না ভাসিয়ে নিজের মতো জীবনের অন্দরমহলকেও সাজিয়ে নিয়েছেন কবিতা।