‘জগ্গা জাসুস’ ছবির প্রস্তুতি ক্যাটরিনার জীবনে অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়, চেষ্টার কসুর করেননি অভিনেত্রী। ফাইল চিত্র
হাতে বেশি সময় নেই। তার মধ্যে সাংবাদিক হতে হবে। সাংবাদিকতা পেশাটা গুলে খেয়ে নিতে হবে। এ দিকে ক্যাটরিনা কইফ তো অভিনেত্রী! সাংবাদিকতায় ছিটেফোঁটাও জ্ঞান নেই। কী করবেন! শুরু হল প্রস্তুতি।
২০১৭ সাল। ‘জগ্গা জাসুস’ ছবির প্রস্তুতি ক্যাটরিনার জীবনে অন্যতম স্মরণীয় অধ্যায়। চেষ্টার কসুর করেননি অভিনেত্রী। কয়েক মাসের মধ্যে সাংবাদিকতা আয়ত্ত করেই ছেড়েছিলেন। অন্তত যাতে তাঁকে চরিত্রে বিশ্বস্ত মনে হয়।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, নিজেকে সাংবাদিক বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন নায়িকা। চরিত্রে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েক জন বিখ্যাত সাংবাদিকের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের থেকে শেখেন নিয়মাবলি। কী ভাবে কাজ হয়, তার একটা ধারণা তৈরি করেন। শুধু তা-ই নয়, সাংবাদিকদের জীবন কেমন হয় বুঝতে ইউটিউব-সহ বিভিন্ন অনলাইন মঞ্চে ১০০ ঘণ্টার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেছিলেন ক্যাটরিনা। সেই অভিজ্ঞতা এখনও ভোলেননি অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “সাংবাদিকরা কেমন ভাবে ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন, কেমন করে সে সব আবার উপস্থাপন করেন, সেই সব আমি শিখি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েও দেখি। আর যত সিনেমা, গল্পে সাংবাদিকতার অনুষঙ্গ আছে আমি দেখে এবং পড়ে ফেলি। সে এক সময় গিয়েছে বটে! তবে অনেক কিছু শিখেছিলাম।”
‘জগ্গা জাসুস’ ছবিতে ছোট্ট ছেলে জগ্গাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল তার বাবা। তার পর বড় হয়ে বাবার খোঁজ শুরু করে ছেলে। তখনই শ্রুতি নামের এক সাংবাদিকের সাহায্য নেয় জগ্গা। শ্রুতির চরিত্রের জন্যই সেই অনন্যসাধারণ প্রস্তুতি ছিল ক্যাটরিনার।
তাঁকে এই চরিত্রের নেপথ্যে পরিশ্রমের কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, “অভিনেতা হওয়ার মজাই হল বিভিন্ন চরিত্রের বাস্তবতা উপভোগ করতে পারা। প্রতি চরিত্রের নিজস্ব রেখচিত্র থাকে। সেগুলোর জন্য প্রস্তুতি প্রয়োজন। ভীষণ চ্যালেঞ্জের কাজ এটা।”
অনুরাগ বসু পরিচালিত ‘জগ্গা জাসুস’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই। রণবীর কপূর আর ক্যাটরিনা ছিলেন মূল চরিত্রে। ছবিটিও বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
হাতে এখন অনেক কাজ ক্যাটরিনার। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ভৌতিক কমেডি ‘ফোন ভূত’। ‘মেরি ক্রিসমাস’ মুক্তি পাবে পরের বছর। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছেন এখন অভিনেত্রী।