বলিষ্ঠ অভিনেতার বিপরীতে তিনি তখন ছাপোষা মডেল!
১৯৯২ সাল। এক বিলাসবহুল অন্তর্বাস সংস্থার মুখ হওয়ার ডাক পেয়েছিলেন কিশোরী মডেল কেট মস। কিন্তু ফ্লোরে গিয়েই চমকে উঠলেন। চিত্রগ্রাহকদের নির্দেশ ছিল, পোশাক খুলে ক্যামেরার সামনে অভিব্যক্তি তুলে ধরতে হবে কেটকে। বিপরীতে জনপ্রিয় অভিনেতা মার্ক ওয়াহলবার্গ। কেট জানান, লজ্জা পেয়েছিলেন শুরুতে। ভয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসছিল। যদিও শ্যুটিংয়ের পর ছবিগুলি বহু মানুষের প্রশংসা পেয়েছিল। মডেলিং কেরিয়ারেও একের পর এক সাফল্যের মুখ দেখেন কেট। প্রবেশ করেন ছবির জগতেও।
পরে এক সাক্ষাৎকারে প্রথম বারের সেই অনুভূতি ভাগ করে নেন তারকা। সঞ্চালক লরেন ল্যাভার্নের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বলেন, ‘‘অভিনেতা মার্কের বিপরীতে অসহায় লাগছিল সে দিন। ভয় করছিল।’’
কারণটাও স্পষ্ট করেন কেট। তখন তিনি নবাগত। তাঁর পরিচিতি তৈরি হয়নি তেমন। আর মার্ক? ‘‘তিনি বলিষ্ঠ, পৌরুষের দীপ্তি তাঁর সর্বাঙ্গে। এত বড় অভিনেতা! তাঁর সামনে নিজেকে হীন বলে মনে হত আমার। আমি তো তখন এক ছাপোষা মডেল!’’
যদিও কালো-সাদা ছবিগুলিতে নিরাবরণ যুগলকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন সকলে। সাড়া ফেলেছিল সেই সিরিজ। কিন্তু তার পর কেটের কী অবস্থা হয়েছিল তার খোঁজ রাখেনি কেউ। অভিমানী কিশোরী মন এখনও তাঁকে ঠেলা দিয়ে সেই স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
কেটের কথায়, ‘‘দুঃস্বপ্ন দেখতাম উদ্বেগে। ডাক্তার আমায় ভ্যালিয়াম লিখে দিলেন। শ্যুটিংয়ের আগেও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শ্যুটিংয়ের পর দু'সপ্তাহ ধুম জ্বর। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারিনি।’’
অন্য দিকে ২০২০ সালে এক সাক্ষাৎকারে মার্কও কেটের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছিলেন। কেটের ‘নার্ভাস ব্রেকডাউন’ হয়েছিল জেনে তিনি বলেন, ‘‘কেটের সঙ্গে কাজ করতে আমার সত্যিই কোনও সমস্যা হয়নি। তবে আমি বোধহয় আর একটু যত্নবান হতে পারতাম। পরে ওর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে কনসার্টে। আমরা সৌজন্য বিনিময় করেছি।’’