দিন কয়েক আগেই কার্তিক আর তাঁর মা মিলে শাহিদ কপূরের পুরনো বাসভবন দেখতে এসেছিলেন। —ফাইল চিত্র।
বাড়ি খুঁজছেন কার্তিক আরিয়ান। জুহুর সৈকতে তাঁর নিজের একটি সমুদ্রমুখী দোতলা ফ্ল্যাট হবে— এই স্বপ্ন বহু দিনের। কিন্তু দু’বছর হয়ে গেল, এখনও মনের মতো আস্তানা পেলেন না ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর নায়ক।
মা, বাবা আর বোনকে নিয়ে এখনও জুহুতেই একটি ভাড়াবাড়িতে থাকেন কার্তিক। অনিল কপূরের বাংলো সেখান থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে। তবে কেরিয়ারের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এখন আরও কিছুটা আয়েশে থাকতে চাইছেন অভিনেতা। দিন কয়েক আগেই কার্তিক আর তাঁর মা মিলে শাহিদ কপূরের পুরনো বাসভবন দেখতে এসেছিলেন। সমুদ্রমুখী সেই ডুপ্লেতেই আগে থাকতেন শাহিদ আর মীরা। তবে পছন্দ হয়েছে কি না জানা যায়নি। আবার শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কার্তিক। তাঁর মা অবশ্য বাড়ি দেখে চলেছেন। কোনও কিছু পছন্দের ব্যাপারে কার্তিকের মা মালাই নাকি শেষ কথা বলেন। তিনি অত্যন্ত খুঁতখুঁতে। ছেলে কাজে ব্যস্ত থাকে বলে মা-ই এ সব তদারকি করেন।
সম্প্রতি একের পর এক চিত্রনাট্য পড়ছেন কার্তিক, দেখা করছেন ছবি নির্মাতাদের সঙ্গে, তাই আরওই উঠে পড়ে লেগেছেন মালা। অদূর ভবিষ্যতে যে কার্তিকের প্রতিপত্তি, যশ আরও বাড়বে সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত তিনি। আর কার্তিকও নিশ্চয়ই সমৃদ্ধির পথেই চলেছেন, না হলে কি আর বড় আস্তানা খোঁজেন?
যদিও অতিরিক্ত বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত নন কার্তিক। সাধারণের ভিড়ে মিশে থাকতেই তিনি স্বচ্ছন্দ। কখনও জুহুর রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ডিকিতেই খাবার রেখে খান, আবার কখনও দোকানে গিয়ে নিজেই ফোনের বিল মেটান। লোকে তাঁকে কাছের মানুষ ভেবে আরও বেশি ভালবাসায় ভরিয়ে দেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শুরুর দিনগুলি ফিরে দেখেন কার্তিক। বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে তখন সদ্য এসেছি। আমার না আছে গাড়ি, না আছে টাকা। পুরস্কার অনুষ্ঠান বা পার্টিতে উড়ে যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। হাত দেখিয়ে গাড়ি থামিয়ে লিফ্ট চাইতাম, যদি কেউ পৌঁছে দেন। কিংবা অটোরিকশা চেপেও গিয়েছি।’’
কার্তিক অভিনীত ‘ফ্রেডি’ মুক্তি পেয়েছে ৬ ডিসেম্বর। ‘ক্যাপ্টেন ইন্ডিয়া’ ছাড়াও বর্তমানে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার একটি ছবিতে কাজ করছেন অভিনেতা।