Kartik-Burj Khalifa

দেশ পেরিয়ে বুর্জ খলিফায় ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’! আলোয় সাজিয়ে বরণ করল বিশ্ব; কী ভাবে?

ছবির প্রথম বুকিং ঘোষিত হল বুর্জ খলিফায়। ৯ জুন, রবিবার থেকে অগ্রিম বুকিং শুরু। ছবিমুক্তি ১৪ জুন। মুখ্য ভূমিকায় কার্তিক আরিয়ান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪ ২০:০৫
Share:

বুর্জ খলিফায় চন্দু চ্যাম্পিয়ন। সংগৃহীত চিত্র।

সত্যি সত্যি চাম্পিয়ন তিনি। নিজের দেশ পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও। এত দিন ভারত ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’ ওরফে প্যারালিম্পিকে স্বর্ণপদকজয়ী মুরলিকান্ত পেটকারকে গর্ব করেছে। এ বার বিশ্ব তাঁকে চিনবে কার্তিক আরিয়ানের সৌজন্যে। আগামী ছবি ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’-এ তিনিই মুরলীকান্ত পেটকরকে জীবন্ত করছেন। রবিবার থেকে ছবির অগ্রিম বুকিং শুরু। তার প্রথম ঘোষণা বুর্জ খলিফার আকাশছোঁয়া বহুতলে। আলো ঝলমলে সেই মিনার চোখ রেখে বিহ্বল স্বয়ং নায়ক। সেই মুহূর্ত তিনি ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। এমন অভিনব প্রচার দেখে বিস্মিত সকলেই।

Advertisement

ভিডিয়োর বিবরণীতে কার্তিক লিখেছেন, ‘অগ্রিম বুকিং শুরু। এখনই আপনার টিকিট বুক করুন। হাতে মাত্র পাঁচ দিন।’ বড় পর্দায় আসার আগেই কবির খান পরিচালিত ছবিটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। কী ভাবে? দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় সম্ভবত এই প্রথম কোনও ছবির অগ্রিম বুকিং ঘোষণা হল। সেটিই কবীরের ‘চন্দু চ্যাম্পিয়ন’। এ দিন বুর্জ খলিফার মিনার জুড়ে কার্তিক আরিয়ান, মুরলীকান্ত পেটকর এবং ছবির বিশেষ কিছু দৃশ্য দেখানো হয়। বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বহুতলে কার্তিক আরিয়ান, পরিচালক কবির খান এবং প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার নাম জ্বলে ওঠে। শেষে বার্তা, অগ্রিম বুকিং ৯ জুন থেকে। তার পর ছবির শিরোনাম এবং মুক্তির তারিখ ১৪ জুন।

শনিবার কার্তিক চরিত্রের জন্য শারীরিক রূপান্তরের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। বিবরণীতে লেখা, ‘৩৯% বডি ফ্যাট থেকে ৭% বডি ফ্যাটে নামতে হয়েছে! মনে রাখার মতো দেড় বছরের যাত্রা। এক এক সময় শরীরচর্চা করতে করতে মনে হয়েছে আমি যেন ভিতর থেকে মুরলীকান্ত পেটকর হয়ে উঠছি। এ ভাবে নিয়মিত পরিশ্রম করলে যে কেউ নিজের স্বপ্ন ছুঁতে পারবে।’ নায়কের শরীরচর্চার বহর দেখে অবশ্য একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তাঁর মা। কার্তিক সে কথাও জানিয়েছেন, আগে তাঁর মা তাঁকে জোর করে জিম যেতে বলতেন। এখন তিনি নাকি বার বার বলেন, এ বার তো তাঁর ছেলে জিম থেকে বেরিয়ে আসুক! মুরলীকান্ত হয়ে ওঠার জন্য জিমের পাশাপাশি আর কী করেছেন কার্তিক? এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁকে শারীরিক প্রশিক্ষকের পাশাপাশি ফিজিয়োথেরাপিস্ট, ডায়েটিশিয়ান, বক্সিং কোচ, সাঁতারের কোচ এবং রেসলিং কোচের থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে। রোজ ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন। জিমে যেতেন। ফিরে ডায়েট মেনে খাবার খেয়েই বক্সিংয়ের প্রশিক্ষণ শুরু। তার পর ফিরে এসে ঘুম। তাও ঘড়ি ধরে!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement