দোকান থেকে সোজা পুরস্কার-অনুষ্ঠানের জাঁকজমকে। এই মাটিতে তো এই আকাশে— সর্বত্র সাবলীল বিচরণ কার্তিকের। ফাইল চিত্র।
নারীরা সব দিক সামলাতে দক্ষ হলে কথায় বলে, তিনি রাঁধেন, আবার চুলও বাঁধেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কোনও প্রবাদ মাথায় এলে তার চটজলদি উদাহরণ হতে পারেন কার্তিক আরিয়ান। শুক্রবার সেজেগুজে এক চলচ্চিত্র পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে ফোনের বিল জমা দিতে গেলেন নায়ক। গাড়ি নিয়ে এসে দাঁড়ালেন জিয়ো ডিজিটাল স্টোরের সামনে। টাকা না মেটালে পাছে ফোন বন্ধ হয়ে যায়, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজের কীর্তির ভিডিয়ো পোস্ট করেন ‘ভুল ভুলাইয়া ২’-এর নায়ক। ভাবখানা এমন যে, সব কাজ তিনি একাই পারেন। পুরস্কার অনুষ্ঠানে যাবেন তো কী হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও তো করতে হবে!
তাঁর ভিডিয়ো দেখে তাজ্জব অনুরাগীরা। কেউ কেউ হেসেই খুন। মন্তব্য ভেসে এল, “তাই তো! কত্ত কী পারেন কার্তিক!” কেউ কেউ আবার ভক্তিতে গদগদ, বললেন, “এই জন্যই তোমায় ভালবাসি।”
কেশসজ্জা, এবং আনুষঙ্গিক প্রস্তুতির ছবি পরের কাটে। যার থেকে কার্তিক বুঝিয়ে দিলেন সেই রাতের পরিক্রমা। দোকান থেকে সোজা পুরস্কার-অনুষ্ঠানের জাঁকজমকে। এই মাটিতে তো এই আকাশে— সর্বত্র সাবলীল বিচরণ কার্তিকের।
অনুষ্ঠান থেকে ফিরে পুরস্কার ও সম্মান-সহ ছবি ভাগ করে নেন কার্তিক। সঙ্গে প্রকাশ করেন সেই ভিডিয়োও। যেখানে ফোনের বিল দিতে যাওয়া থেকে শুরু করে পুরস্কারের অনুষ্ঠান— ধরা আছে একটা পুরো রাত। যাকে কার্তিক বলেছেন, “মনে রাখার মতো রাত।”
সমাজমাধ্যমে প্রায়ই এমন চমক দিয়ে থাকেন কার্তিক। কেরিয়ারের সফলতম বছর কাটছে তাঁর। হাতে রয়েছে একগুচ্ছ ছবি।