নয়ের দশকে বলিউডের অন্যতম হিট অভিনেত্রী ছিলেন লোলো। অর্থাৎ করিশ্মা কপূর। তবে কেরিয়ারে যে ভাবে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে তেমনটা হয়নি।
বরং ব্যক্তিগত জীবনে বারেবারেই হোঁচট খেতে হয়েছে তাঁকে। কখনও অজয় দেবগণ কখনও অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে।
বিয়ের আগে যে সম্পর্কগুলোয় জড়িয়েছিলেন, কোনওটাই খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শেষমেশ বিয়ে করেছিলেন এক ব্যবসায়ীকে। কিন্তু সেখানে পদে পদে বাধা নেমে এসেছিল তাঁর জীবনে।
গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন। বিয়ের প্রায় ১৩ বছর পর ডিভোর্স দেন করিশ্মা। তারপর থেকে ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে একাই থাকেন তিনি।
করিশ্মার জীবনটা হয়তো একটু অন্যরকমও হতে পারত। যদি তাঁর বিয়ে অক্ষয় খন্নার সঙ্গে হত! অনেকেই জানেন না, একসময় করিশ্মা আর অক্ষয় খন্নার বিয়ে প্রায় স্থির হয়ে গিয়েছিল।
করিশ্মা কপূরের বাবা রণধীর কপূর মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে বিনোদ খন্নার কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
ছেলের জন্য বিনোদ খন্নাও এরকমই একজন সুন্দরী এবং সফল পাত্রী খুঁজছিলেন। এই বিয়েতে তিনিও রাজি হয়ে যান।
সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে সে সময় অক্ষয় আর করিশ্মাকে নিয়ে কানাঘুষোও শুরু হয়েছিল।
দুজনের হট ফটোশুট সেই গুঞ্জন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। অক্ষয়-করিশ্মার জুটিকে বেশ পছন্দ করেছিল বলিউড।
কিন্তু শেষমেশ তাঁদের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। কারণ তাঁদের সম্পর্কের মাঝে চলে এসেছিলেন করিশ্মার খুব কাছের একজন মানুষ।
করিশ্মার মা। ববিতা কপূর। অক্ষয়কে নিয়ে খুব একটা আপত্তি ছিল না তাঁর। কিন্তু এই বিয়েতে তিনি রাজি ছিলেন না।
কারণ ছিল একটাই। সে সময় করিশ্মা বলিউডের সুপারহিট নায়িকা। একটার পর একটা হিট ফিলম দিয়ে চলেছেন।
আর অন্যদিকে অক্ষয় খন্না সবেমাত্র ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন। তাঁর কেরিয়ার গ্রাফ কোনদিকে যাবে তার কোনও ঠিক ঠিকানা ছিল না।
বড় মেয়ের জন্য এমন জামাই মোটেই পছন্দ ছিল না ববিতার। তাই স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়েই এই বিয়ে ভেঙে দেন তিনি।
২০০৩ সালে ব্যবসায়ী সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। ২০১৬ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। এক ছেলে আর এক মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন করিশ্মা। অক্ষয় খন্নাও আর বিয়ে করেননি।