তৈমুর আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
তৈমুরের নাম বিতর্ক মনে পড়়ে? হ্যাঁ, তৈমুর আলি খানের কথাই বলা হচ্ছে। জন্মের পর কেন সইফ আলি খান এবং করিনা কপূরের ছেলের নাম তৈমুর রাখা হল, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। তবুও ছেলের নাম বদলাননি দম্পতি।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে করিনা জানিয়েছেন, সইফ নাকি বিতর্কের জেরেই তৈমুরের নাম পরিবর্তন করে ‘ফইজ’ রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করিনা তাতে আপত্তি করেন। কোনও চাপের কাছে তিনি নতি স্বীকার করতে রাজি ছিলেন না। করিনার মতে, তৈমুর নামের অর্থ লোহা। তিনি চান, তাঁর ছেলেও নামের অর্থ অনুযায়ী একজন লৌহ মানব হয়ে উঠুক।
তৈমুর আলি খানের জন্মের পর প্রায় সকলেরই মুখে একটাই প্রশ্ন ছিল, কোন আক্কেলে তুর্কি-মোঙ্গল শাসক কুখ্যাত তৈমুর লঙ্গের নামে ছেলের নামকরণ করলেন সইফ-করিনা? এ প্রসঙ্গে সইফ বলেছিলেন, ‘‘গোটা বিশ্বের ইসলাম ফোবিয়া সম্বন্ধে আমি সচেতন। কিন্তু আমি তো ছেলের নাম রাম বা আলেকজান্ডার রাখব না। তা হলে ছেলের একটা ভাল মুসলিম নামও রাখতে পারব না? তাকে ধর্মীয় মূল্যবোধ শিখিয়ে বড় করব। যাতে যে কোনও লোক যখন তাকে দেখবে যেন বলে, বাহ্! ছেলেটাতো খুব সুন্দর।’’
আরও পড়ুন, ছেলের নাম তৈমুরই কেন রাখলেন সইফ-করিনা?
কিন্তু তুর্কি শাসক তৈমুর লঙ্গের কথা কি তাঁরা জানতেন না? ছেলের নাম রাখার আগে একবারও কি তাঁর কথা মনে হয়নি? সইফ জবাব দিয়েছিলেন, ‘‘আমি ওই তুর্কি শাসকের কথা জানি। কিছুটা স্বৈরাচারীও ছিলেন। কিন্তু তিনি ছিলেন তিমুর। আর আমার চেলে তৈমুর। দু’টো শুনতে এক মনে হলেও আসলে আলাদা। নামে সত্যিই কিছু যায় আসে না। আর সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে রাজা অশোক বা আলেকজান্ডারও তো স্বৈরাচারী ছিলেন।’’
বলিউড-টলিউড-টেলিউডের হিট খবর জানতে চান? সাপ্তাহিক বিনোদন সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন