করিনা এবং দীপিকা।
করিনা কপূর খানের জন্য ঘুরে গিয়েছিল দীপিকা পাড়ুকোনের কেরিয়ার। তাঁর জন্যই অন্যতম সেরা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন দীপিকা।
আজ্ঞে হ্যাঁ। সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘রামলীলা’ ছবিতে লীলার চরিত্রে প্রথম অভিনয় করার কথা ছিল করিনার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসেন বেবো। অগত্যা দীপিকার কাছেই ছুটে যেতে হয় সঞ্জয়কে।
এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেছিলেন অন্যান্য নায়িকাদের জন্য ছবি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে একমাত্র তিনিই গর্ব করতে পারেন। ২০১৩ সালে ‘গোরি তেরে প্যায়ার ম্যায়’ ছবিটি করার জন্য ‘রামলীলা’তে অভিনয়ের সুযোগ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বক্স অফিসে ‘রামলীলা’র ভাঁড়ার উপচে পড়লেও, করিনার ছবি মুখ থুবড়ে পড়ে। এই সিদ্ধান্তের কারণে পরবর্তী সময় নিজেকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়েছিলেন করিনা।
এর আগেও ‘কল হো না হো’ ছবিতে ‘নয়না’র চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল করিনা কপূর খানের। পরিচালক কর্ণ জোহরের সঙ্গে বন্ধুত্বে ছেদ পড়ায় সে সময় করিনা সরে আসেন। তখন সেই চরিত্রটি করেন প্রীতি জিন্টা।
মুডের উপর নির্ভর করেই কাজ করেন করিনা। তাই অনেক ছবি সই করেও, পরে সেগুলিতে কাজ করেননি অভিনেত্রী। তিনি মনে ভেবেছিলেন, পরবর্তীকালে নিশ্চয়ই সঞ্জয়ের সঙ্গে কাজের সুযোগ আসবে তাঁর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর সেই ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি।
‘রামলীলা’র সেট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শ্যুটিং শুরু হওয়ার ১০দিন আগে সরে আসেন করিনা। একই সমস্যার অনেক বছর আগেও পড়েছিলেন সঞ্জয়। ‘ইনসাল্লাহ’ ছবি থেকেও একই ভাবে সরে এসেছিলেন সলমন। ‘রামলীলা’তে ফের সেই করিনা-সলমন জুটিকে নিয়েই কাজ করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সে বারও দুই তারকা তাঁকে নিরাশ করলে, নতুন জুটির জন্ম হয় বলিউডে। সঞ্জয়ের ভাবনায় অবশেষ রণবীর সিংহ এবং দীপিকা পাড়ুকোণ হয়ে ওঠেন বলিউডের রামলীলা।