(বাঁ দিক থেকে) কর্ণ জোহর, আবু সালেম, শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
খুনের হুমকি পেয়েছিলেন কর্ণ জোহর। সেই সময় সাহস জোগাতে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন এক জন। তিনি শাহরুখ খান। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন কর্ণ।
ঘটনাটা ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর প্রিমিয়ারের সময়। হুমকি পাওয়ার পরে হোটেলের ঘরে লুকিয়েছিলেন পরিচালক কর্ণ। শাহরুখ এসে সাহস দিয়েছিলেন। কর্ণের মা হিরু জোহরকে ফোন করা হয়। সেই ফোন এসেছিল মুম্বইয়ের অন্ধকার জগৎ থেকে। সেটি ছিল গ্যাংস্টার আবু সালেমের ফোন।
কর্ণ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ছবির প্রিমিয়ারের দিন মায়ের কাছে এসেছিল ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর ওই ফোন। এক জন বলেছিল, আপনার ছেলে সাদা টি-শার্ট পরে রয়েছে। আমি ওকে দেখতে পাচ্ছি। শুক্রবার এই ছবিটি মুক্তি পেলে আমরা ওকে গুলি করব। কোনও কারণে ওরা ছবিটা ওই শুক্রবার মুক্তি দিতে চায়নি। কিন্তু কেন, তা আমরা জানতে পারিনি। সেটা ছিল আবু সালেমের ফোন। আমার মা আতঙ্কে কাঁপছিলেন।’’
সেই সময় নাকি তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন শাহরুখ। কর্ণ বলেন, ‘‘আমাকে ঘর থেকে টেনে বার করে বারান্দায় নিয়ে এসেছিল। বলেছিল, ‘আমি এখানে তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দেখি কে তোমাকে গুলি করে! আমি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব।’ সেখানে আমার মা-ও ছিলেন। শাহরুখ আমার মাকে বলেছিল, ‘কিছুই হবে না। আমি এক জন পাঠান। আপনার ছেলের কিচ্ছু হবে না। ও আমার ভাইয়ের মতো। কিছুই হবে না।’’’
কর্ণ ও শাহরুখ দীর্ঘ দিনের বন্ধু। একে অপরের সুখে-দুঃখে তাঁরা পাশে থাকেন, সে কথা কারও অজানা নয়। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন কর্ণ। ছবিতে শাহরুখের বন্ধুর চরিত্রেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বলিউডে নিজের প্রথম ছবির (‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’) জন্যেও অভিনেতা হিসেবে শাহরুখকেই বেছে নিয়েছিলেন কর্ণ। পরবর্তী সময়ে কর্ণ পরিচালিত ‘কভি অলবিদা না কেহনা’ এবং ‘মাই নেম ইজ় খান’-এর মতো ছবিতেও মুখ্য চরিত্রে শাহরুখকেই পেয়েছেন দর্শক। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে বন্ধুত্ব।