সইফ-অমৃতার মধ্যে নতুন কোনও সমীকরণের ইঙ্গিত দিলেন কর্ণ! ছবি: সংগৃহীত।
বলিউড তারকা-সন্তানদের ‘গডফাদার’ কর্ণ জোহর। বছরের পর বছর ধরে তারকা-সন্তানদের কেরিয়ার গড়েছেন তিনি। নিজের বেড়ে ওঠা থেকে বন্ধুবান্ধব, সবই এই ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। বলি তারকাদের যে কোনও পার্টি থেকে বিশেষ অনুষ্ঠান, সর্বত্র কর্ণ জোহরের উপস্থিতি। এ বার কর্ণের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখতে চলেছেন সইফ আলি খান ও অমৃতা সিংহের ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। এ দিকে সইফের বাড়িতে সদ্যই ঘটেছে দুষ্কৃতীর হামলার ঘটনা। পাঁচ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা। প্রায় সব পরিজন দেখতে এলেও এক বারের জন্য দেখা মেলেনি অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অমৃতা সিংহের। এ বার কর্ণই কি হলেন দুই প্রাক্তনের যোগসূত্র?
বহু বছর হয়ে গিয়েছে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে অমৃতা-সইফের। তার পর করিনার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন সইফ। যদিও অমৃতা আর বিয়ে করেননি। দুই ছেলেমেয়েকে বড় করতেই কাটিয়ে দিয়েছেন বাকি সময়টা। মেয়ে সারা আলি খানের আগেই পর্দায় অভিষেক হয়েছিল। এ বার কর্ণের প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হবে ইব্রাহিমের। তার আগে ৪০ বছর পিছনে ফিরলেন কর্ণ। ইব্রাহিমের বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ পর্বের স্মৃতি রোমন্থণ করলেন প্রযোজক।
অমৃতার সঙ্গে যখন কর্ণের দেখা হয়, তখন তাঁর বয়স ১২ বছর। অমৃতার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর যা সব থেকে মনে ধরে কর্ণের, তা অমৃতার চুলের কাট। অবশেষে নৈশভোজ ও জেমস বন্ডের সিনেমার মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয় তাঁদের।
এ দিকে সইফ ও তাঁর সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কর্ণ লেখেন, ‘‘সইফের সঙ্গে আনন্দ মহেন্দ্রুর অফিসেই আমার প্রথম দেখা হয়। তরুণ, ভদ্র, নমনীয় একটা ছেলে... অনেকটা ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের মতো। একটা দৃঢ় বন্ধুত্ব, যা আমাদের প্রজন্ম থেকে সৌভাগ্যক্রমে আমাদের সন্তানদের মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে! এই পরিবারকে আমি ৪০ বছর ধরে চিনি। অমৃতার সঙ্গে ‘দুনিয়া’, সইফের সঙ্গে ‘কল হো না হো’, সারার সঙ্গে ‘সিম্বা’র পর আরও অনেক কিছু...। আমি এই পরিবারকে গত ৪০ বছর ধরে চিনি। অভিনয় এঁদের রক্তে। আমরা শুধু প্রতিভার জন্য রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছি।’’