স্বজনপোষণকাণ্ডে এ বার কর্ণ জোহরের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেন এক সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক। সংস্থার ওই অধিকর্তার দাবি, একটি নির্দিষ্ট পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কর্ণের ছবি ‘মাই নেম ইজ খান’ সেরা ছবির বিভাগে মনোনীত হয়নি। তার জেরে ক্ষুব্ধ কর্ণ রীতিমতো হুমকি দেন, ওই অনুষ্ঠান বয়কট করবেন বলিউডের তারকারা।
এমনকি, নিজের টক শো ‘কফি উইথ কর্ণ’ ঘিরেও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুঙ্গে। ওই শো-এ কর্ণ তাঁদেরই নাকি ডাকেন, যাঁর ওঁর বন্ধুবৃত্তে আছেন এবং যাঁদের কাছ থেকে বিতর্কিত মন্তব্য তিনি পাবেন।
‘কফি উইথ কর্ণ’-এর পঞ্চম সিরিজে নিজের পছন্দের জনদের তো ডেকেইছিলেন। পাশাপাশি, বেশ কিছু ছবিও প্রোমোট করেছিলেন। ‘ডিয়ার জিন্দগী’, ‘দঙ্গল’-এর মতো ছবির প্রোমোশন হয়েছিল এই মঞ্চে।
হৃতিক রোশনেরও সেই সিজনে অতিথি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। শোনা যায়, তিনি কর্ণ এবং অনুষ্ঠানের নির্মাতাদের কাছে একটি অনুরোধ রেখেছিলেন। বলেছিলেন, যদি তিনি সঙ্গে ‘কাবিল’ ছবির নায়িকা ইয়ামি গৌতমকেও নিয়ে যেতে চান।
হৃতিক চেয়েছিলেন, ওই শো-এ ‘কাবিল’ ছবির প্রোমোশন করতে। সে জন্যই নায়িকাকে নিজের পাশে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রোডাকশন হাউস থেকে তাঁকে জানানো হয়, ইয়ামিকে তিনি ওই শো-এ নিয়ে যেতে পারবেন না।
প্রোডাকশন হাউস থেকে উত্তর এলেও ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, ইয়ামিকে নিয়ে আপত্তি ছিল সঞ্চালক কর্ণ জোহরেরই। কারণ ইয়ামি তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন না। পাশাপাশি, তাঁর মনে হয়েছিল তাঁর শো-এ যোগ দেওয়ার মতো যথেষ্ট জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি ইয়ামির নেই।
‘বদলাপুর’ ছবির নায়িকা ইয়ামি তিনটি জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবির সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। কিন্তু তার পরেও কর্ণের পছন্দের তালিকায় জায়গা পাননি।
অন্য দিকে, আলিয়া ভট্ট, বরুণ ধবনের মতো স্টারকিডরা অনায়াসে কর্ণের শো-এ অংশগ্রহণের অধিকার পেয়েছেন।
ইয়ামি তো বটেই, আরও অনেক সুপারস্টার এই শো-এ অংশ নেওয়ার ডাক পাননি।
সে রকমই এক জন তারকা গোবিন্দ। নব্বইয়ের দশকের এই সুপারস্টারকে কোনওদিন কর্ণ তাঁর শো-এ অতিথি হতে আমন্ত্রণ জানাননি।
বলিউডে একটা বড় অংশের দাবি, এর থেকে স্পষ্ট কর্ণের শো-এ অংশ নেওয়ার একমাত্র মাপকাঠি জনপ্রিয়তা নয়। কারণ জনপ্রিয়তার নিরিখে গোবিন্দর ধারেকাছে আসবেন না, এমন অনেক তারকাই শো-এ এসেছেন।
কার্যত কর্ণের নেকনজরে থাকলে তবেই তাঁর টক শো-এ অতিথি হওয়া যেত। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন এ ভাবেই বলিউডে স্বজনপোষণ চালিয়ে গিয়েছেন কর্ণ জোহর। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের রহস্যমৃত্যুতে প্রদীপের নীচের অন্ধকারটা আরও গাঢ় এবং স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।