খবর, আগামী বছরের ইদের জন্য নাকি কর্ণ জোহরের সঙ্গে হাত মেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে সলমনের। ছবি: সংগৃহীত।
বছরভর কমবেশি ছবি মুক্তি পেলেও বড় তারকাদের ছবি মুক্তির জন্য সাধারণ ভাবে উৎসবের মরসুমকেই বেছে নেন বলিউডের ছবি নির্মাতারা। কারও লক্ষ্য থাকে ইদ, কারও দিওয়ালি, কারও আবার বছরশেষের ক্রিসমাস। এই সব উৎসবের মধ্যে ইদের মরসুমের অঘোষিত ‘বাদশা’ সলমন খান। প্রতি বছর ইদে অনুরাগীদের কোনও না কোনও ছবি উপহার দেন বলিউডের ভাইজান।
অতিমারি ও লকডাউনের অধ্যায়ে সেই অভ্যাসে সামান্য ছেদ পড়লেও চলতি বছর থেকে আবার পুরনো রীতিতে ফিরেছেন সলমন খান। আসন্ন খুশির ইদে মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। ছবি নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে তুঙ্গে প্রত্যাশার পারদ। ছবির মুক্তি নিয়ে বেশ উত্তেজিত কলাকুশলীও। একাধিক নতুন মুখের বলিউড অভিষেক হতে চলেছে সলমন খানের এই ছবিতে। বলতে গেলে, এই ইদে বেশ আটঘাট বেঁধেই নেমেছেন ভাইজান। কিন্তু পরবর্তী ইদে কী পরিকল্পনা তাঁর?
সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘ইনশাআল্লাহ’ ছবিতে আলিয়া ভট্টের বিপরীতে অভিনয় করার কথা ছিল সলমন খানের। কথা ছিল, ইদের মরসুমেই মুক্তি পাবে ওই ছবি। কিন্তু সেই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। ২০১৯ সালে ওই ছবির ঘোষণা করেছিলেন সঞ্জয় লীলা ভন্সালী। চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রশ্নের মুখে ‘ইনশাআল্লাহ’-র ভবিষ্যৎ। তা হলে পরের বছর ইদে সলমনের কাছ থেকে কোন ছবি উপহার পাবেন দর্শক? খবর, আগামী বছরের ইদের জন্য নাকি কর্ণ জোহরের সঙ্গে হাত মেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে সলমনের। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২৫ বছর পর ফের এক ছবিতে কাজ করতে চলেছেন কর্ণ ও সলমন। ১৯৯৮ সালে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে শেষ বার এক সঙ্গে কাজ করেন দু’জনে।
ওই ছবিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সলমন। পর্দায় উপস্থিতি কম সময়ের হলেও তাঁর চরিত্র নজর কেড়েছিল দর্শক ও সমালোচকদের। খবর, আগামী বছর ইদের জন্য একটি বিগ বাজেট ছবি পরিকল্পনা করছেন কর্ণ। ওই ছবির জন্যই সলমন খানকে পেতে মুখিয়ে রয়েছেন প্রযোজক-পরিচালক। অন্য দিকে আগামী বছর ইদের জন্য এই মুহূর্তে হাতে কোনও ছবি না থাকায় কর্ণের ছবির চিত্রনাট্যেই মন দিয়েছেন সলমন খানও। তবে কি দু’যুগেরও বেশি সময় পরে আগামী বছরই একযোগে কাজ করতে চলেছেন কর্ণ জোহর ও সলমন খান? ছবির ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করে রয়েছেন দুই তারকার অনুরাগীরা।