গত বছরেও ৯৪তম অস্কারে রেড কার্পেটের রং ছিল লাল। ছবি: সংগৃহীত।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র ঘণ্টাখানেকের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই চড়েছে উত্তেজনার পারদ। ৯৫ তম অস্কার বলে কথা। চমক তো থাকছেই, সঙ্গে থাকছে এক বড় পরিবর্তন। বদলে যাচ্ছে অস্কারের গালিচার রং। লাল নয়, এই বছর শ্যাম্পেন রঙা গালিচায় হাঁটবেন তারকারা। অর্থাৎ লালের পরিবর্তে এই প্রথম অস্কারের রেড কার্পেটের রং হতে চলেছে হালকা হলুদ রঙের। অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের প্রাক্কালে কার্পেটের রং বদলের ঘোষণা করলেন চলতি বছরের সঞ্চালক জিমি কিমেল।
সাধারণত যে কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রেড কার্পেটের রং হয় লাল। অস্কারের ক্ষেত্রে ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই ধারা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে লাল গালিচায় এসে দাঁড়াবেন তারকারা। আলোকচিত্রীদের ক্যামেরার সামনে তুলে ধরবেন নিজেদের। রেড কার্পেটের এই ছবি দেখেই অভ্যস্ত সাধারণ দর্শক। শুধু টেলিভিশনের সামনেই নয়, রেড কার্পেটের বাইরেও সার বেঁধে অপেক্ষা করেন অনুরাগীরাও। যে কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রেড কার্পেট যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চলতি বছরের অস্কারের বদলে যাচ্ছে সেই ধারা। কার্পেট থাকছে, তবে তা ‘রেড’ নয়। শ্যাম্পেন রঙা গালিচায় সাজানো হচ্ছে ডলবি থিয়েটার চত্বর। ৬২ বছরের এই ধারায় বদল আনার কারণ কী?
দীর্ঘ ছয় দশক পর চলতি বছরে অস্কারের রেড কার্পেটের রং বদলে গেল। ছবি: সংগৃহীত।
অন্দরসজ্জার দায়িত্বে থাকা শিল্পীদের মতে, দুপুর-বিকেল নাগাদ সময় থেকে গালিচায় আসা শুরু করেন তারকারা। সেই পড়ন্ত রোদের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই সোনালি আভার গালিচার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক কালে একাধিক ছবির প্রিমিয়ার অনুষ্ঠান থেকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লাল গালিচার বদলে দেখা গিয়েছে অন্যান্য রঙের গালিচা। যেমন মেট গালায় গোলাপি গালিচা, ডিজ়নির নীল রঙের গালিচা, ‘ব্ল্যাক প্যান্থার: ওয়াকান্ডা ফরেভার’ ছবির প্রিমিয়ারের বেগনি রঙের গালিচা ব্যবহৃত হয়েছিল। গতে বাঁধা গ্ল্যামারে মোড়া লাল গালিচা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ভাবে ‘কার্পেট’ সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। সে কথা মাথায় রেখেই শ্যাম্পেন রঙা কার্পেটের সিদ্ধান্ত। সঙ্গে, সোনালি আভার গালিচার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতের ‘গোল্ডেন আওয়ার’কেও তুলে ধরার ভাবনা অন্দরসজ্জা শিল্পীদের।
অন্য দিকে, গালিচার রংবদল ঘোষণা করতে গিয়ে মস্করা করতে ছাড়েননি ৯৫তম অস্কারের সঞ্চালক জিমি কিমেল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই বছর যে কোনও প্রকার রক্তক্ষয় রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শ্যাম্পেন কার্পেটের অবতারণা।’’ গত বছর অস্কারের মঞ্চে ক্রিস রক এবং উইল স্মিথের চড়-কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনেই যে এ কথা বলেছেন সঞ্চালক, তা স্পষ্ট তাঁর মন্তব্যেই।