কঙ্গনা রানাউতের ছবি ‘ইমার্জেন্সি’-র মুক্তি ঘিরে টালবাহানা চলছেই। ছবি: সংগৃহীত।
কঙ্গনা রানাউতের ‘ইমার্জেন্সি’ছবি নিয়ে আইনি জট কাটছে না কিছুতেই। সেন্সর বোর্ড নির্বিচারে, বেআইনি ভাবে আটকে দিচ্ছে ‘ইমার্জেন্সি’র ছাড়পত্র। সেই কারণে মু্ক্তি পাচ্ছে না ছবিটি। এমনই অভিযোগ তুলে বোম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন ছবির নির্মাতারা।
সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বরই প্রেক্ষাগৃহে দেখা যেত ইন্দিরা গান্ধীরূপী কঙ্গনা রানাউতকে। ছবিটি তাঁরই পরিচালিত। চিত্রনাট্যও লিখেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। কিন্তু, তা সম্ভব হয়নি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের অনুমতি না মেলায়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বোম্বে হাই কোর্টে বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়ালা এবং ফিরদোস পুনিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ছবি নির্মাতাদের দাবি, ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এ দিন সেন্সর বোর্ডের আইনজীবী অভিনব চন্দ্রচূড়কে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও খানিকটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সেন্সর বোর্ড। কারণ, পরিস্থিতি সংবেদনশীল।
কঙ্গনার ‘ইমার্জেন্সি’নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিখ ভাবাবেগে আঘাত লাগছে বলে ইতিমধ্যেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছে শিরোমণি অকালি দল-সহ বেশ কিছু শিখ সংগঠন। হুমকি পেয়েছেন স্বয়ং কঙ্গনা। এমনকি সেন্সর বোর্ডের সদস্যদেরও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ছবিমুক্তি ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা প্রসঙ্গে কঙ্গনা এর আগেই বলেছেন, “আমার ছবিতেই ইমার্জেন্সি লাগু হয়ে গিয়েছে। খুবই হতাশাজনক বিষয়।”দেশের পরিস্থিতিতে নিজেই হতাশ বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, “বলিউডের চলতি গল্প নিয়ে ছবি বানাতেই পারতাম। কিন্তু, আত্মবিশ্বাস নিয়ে এই ছবিতে হাত দিয়েছিলাম। আমি চাই পুরো ছবিটা সকলকে দেখাতে। প্রয়োজনে আইনি লড়াই লড়ব। কিন্তু হঠাৎ ইন্দিরা গান্ধী নিজের বাড়িতে মারা গেলেন, এটা দেখাতে পারব না।”