Kangana Ranaut On P.M Modi

মোদীর চোখের সামনে বিশ্বকাপে পরাজয়, পেয়েছেন ‘অপয়া’ তকমা, পাল্টা আক্রমণ কঙ্গনার

বিশ্বকাপে ভারতের হারের পর সমাজমাধ্যমের পাতায় ট্রেন্ডিং হয় ‘পনৌতি’ হ্যাশট্যাগ। মোদীকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপ দেখে ময়দানে নামলেন কঙ্গনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৫
Share:

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী। (ডান দিকে) কঙ্গনা রানাউত। ছবি: সংগৃহীত।

আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদীর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয় ভারত। ১ লক্ষ ৩২ হাজার দর্শকের স্টেডিয়ামে সে দিন সাধারণ মানুষ থেকে বলিউড তারকা— সকলেই ছিলেন। তেমনই খেলা দেখতে মাঠে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সন্ধ্যা ৮.৩০টা নাগাদ যখন স্টেডিয়ামে ঢুকলেন, তখন থেকেই প্রায় স্পষ্ট হচ্ছে খেলার ভবিষ্যৎ। মোদী মাঠে আসার পর ক্ষণিকের মধ্যে নির্ধারিত হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়ার ভাগ্য। প্রায় ফাঁকা মাঠে প্যাট কামিন্সের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও ম্যাচ হারার পর ভারতীয় দলের সাজঘরে গিয়ে খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করেন। তবে তাতেও কাজ হয়নি। তত ক্ষণে শুরু হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে ট্রোলিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রীতিমতো ‘অপয়া’ তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকরা। সমাজমাধ্যমের পাতায় ট্রেন্ডিং হয় ‘পনৌতি’ হ্যাশট্যাগ। মোদীকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গবিদ্রুপে চটে লাল কঙ্গনা রানাউত। মোদীর হয়ে মাঠে নামলেন বলিউড অভিনেত্রী।

Advertisement

বরাবরই প্রধানমন্ত্রী ও গেরুয়া শিবিরের প্রতি নিজের আনুগত্য দেখিয়েছেন কঙ্গনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে তাঁকে ‘নতুন ভারতের বিশ্বকর্মা’র আখ্যা দেন অভিনেত্রী। প্রধানমন্ত্রী বললে তিনি ভোটেও পর্যন্ত দাঁড়াতে রাজি। তাই ভারতের বিশ্বকাপ হারের পর যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় নামেন, তাঁদের জন্য ‘রণং দেহি’ রূপ ধারণ করলেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের পাতায় কঙ্গনা লেখেন, ‘‘যাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে অপয়া বলছেন, তাঁদের কিছু সত্যি বলি এ বার। তিনি আজ পর্যন্ত যা ছুঁয়েছেন, তাই সোনা হয়েছে। উনি এমনই এক জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যিনি কখনও নির্বাচনে হারেননি। ওঁর নেতৃত্বেই গুজরাত এত উন্নতি করেছে। ওঁর নেতৃত্বে এ বার ভারতের অর্থনীতি ৪ ট্রিলিয়ন ছুঁয়ে ফেলবে। রাজনীতিতেও এ রকম কুৎসা রটানো উচিত নয়।’’

প্রসঙ্গত, এই একই সুর ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীরও। বৃহস্পতিবার সেই মন্তব্যের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ‘শো-কজ়’ নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘অপয়া’ মন্তব্যের পাশাপাশি মোদীর বিরুদ্ধে ‘পকেটমার’ এবং ‘ঋণ মকুব’ সংক্রান্ত মন্তব্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতেও রাহুলের কাছে কৈফিয়ত তলব করেছে কমিশন। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশনের তরফে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার। রাহুলকে অবশ্য সরাসরি কঙ্গনা কিছু বলেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement