কঙ্গনা রানাউত।
দিদি রঙ্গোলি রানাউতের জন্মের পর আর কন্যাসন্তান চাননি কঙ্গনা রানাউতের মা-বাবা। পুত্রসন্তান আশা করেছিলেন তাঁরা। নিজের জন্মমাসে কঙ্গনা জানালেন এই গল্প।
ছোটবেলার এক বান্ধবীর সঙ্গে একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। সঙ্গে লিখেছেন অতীতের গল্প। জানিয়েছেন, তাঁর জন্মের পর মোটেই খুশি ছিলেন না তাঁর মা-বাবা। বরং পুত্রসন্তান না পেয়ে কিছুটা নিরাশ হয়েছিলেন তাঁরা। তবে কঙ্গনা ‘সুন্দরী’ ছিলেন বলে পরিবারের সকলে তাঁকে মেনে নেন। কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমার ঠাকুমা গল্প করেছেন, আমি জন্মানোর পর পরিবারের সকলে খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু তাঁরা বিশেষ কিছু মনে করেননি, কারণ আমি সুন্দরী ছিলাম। তাই আমাকে বিয়ে দেওয়া খুব একটা কঠিন হত না। এই গল্পগুলি শুনে সকলে যখন হাসত, আমার মনে প্রত্যেকবার আঘাত লাগত।’
তবে এই কথাগুলিই তাঁকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দিয়েছে বলে দাবি কঙ্গনার। তিনি লিখেছেন, ‘প্রচুর চর্চা হয়েছে, গবেষণা হয়েছে, এবং বই আছে এই নিয়ে। ইতিহাসই বলছে, যাঁরা অবাধ সাফল্য পেয়েছেন বা মহৎ কাজ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথমে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। সুতরাং বাধা এবং দুঃখকষ্ঠ— সবই অর্থবহ’।
রঙ্গোলির জন্মের আগে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন কঙ্গনার মা-বাবা। কিন্তু ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়। এরপর কঙ্গনার দিদি জন্মালে সানন্দে তাঁর যত্নআত্তি করা হয়। কিন্তু তার পরে ফের কন্যাসন্তানের জন্ম মেনে নিতে পারেনি তাঁর পরিবার।