মমতা এবং কঙ্গনা
প্রধানমন্ত্রীর শত্রু তাঁরও শত্রু। এমনটাই বলেছে কঙ্গনা রানাউতের প্রতিটি বক্তব্য। তার পরেও নরেন্দ্র মোদীর ‘অন্ধ সমর্থক’ টুইটে মন খুলে কুর্নিশ জানালেন মোদীর এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় শত্রু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নেটমাধ্যমে প্রকাশ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আহত বাঘিনী’র সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। একই সঙ্গে এও স্বীকার করলেন, ‘খলনায়ক হতে গেলে পরাক্রমী রাবণের মতো হন। ঠিক যেমন মমতা দিদি।’ তার পরেই তাঁর তীব্র ভর্ৎসনা, ‘গোগো’র মতো ভীরু রাহুল গাঁধিকে তিনি ‘খলনায়ক’ মানতেও নারাজ।
কঙ্গনা হঠাৎ কেন এত ভূয়সী প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তাঁর দাবি, বাংলায় বিজেপি-র পরাজয় বিশ্লেষণ করতে গিয়েই তিনি প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে যে ধাক্কা গেরুয়া শিবির দিয়েছিল, ২০২১-এ আহত বাঘিনীর মতোই পাল্টা আক্রমণ করে সেই আঘাত তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। মোদীকে আটকাতে মমতা কী করেছেন তার লম্বা ফিরিস্তিও দিয়েছেন নায়িকা।
কঙ্গনা চাবুক ভাষায় জানিয়েছেন, ‘বিজেপিকে আটকাতে কী করেননি মমতা দিদি! শাহিনবাগ প্রতিবাদ, দিল্লি হিংসা নিয়ে বিরোধিতা করেছেন। নির্বাচনের আগে এনআরসি, সিএ বিল আনতে দেননি।’ এখানেই তালিকা শেষ করেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন, মমতা সরাসরি কেন্দ্রকে শাসিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং মোদীকে সাবধান করে বলেছেন, ‘খেলা হবে’। এবং অসংখ্য শরণার্থীদের বাংলায় আশ্রয় দিয়ে তাঁদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
কঙ্গনার দাবি, মমতার সমস্ত পদক্ষেপ গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরেছে।
তার পরেও কেন তিনি মমতার গুণগ্রাহী? কঙ্গনার যুক্তি, এই সমস্ত মমতা করেছেন একজন পরাক্রমী খলনায়কের মতোই। ঠিক যেমন রাবণ তাঁর রাজ্য বাঁচাতে, প্রজাদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। তাই মমতার সমস্ত অন্যায়কে তাঁর কুর্নিশ!