বোন কঙ্গনার সঙ্গে রঙ্গোলি।
একের পর এক সাম্প্রদায়িক পোস্ট। তার জেরেই সাসপেন্ড করা হল রঙ্গোলি চান্ডেলের টুইটার অ্যাকাউন্ট।
বুধবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্তদের নিতে আসা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর পাথরবৃষ্টি চালায় একদল হামলাকারী। আহত হন বেশকয়েক জনচিকিৎসক। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দেশ জুড়ে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।
রঙ্গোলিও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তবে কেবল সমালোচনাতেই থেমে থাকেননি তিনি। একের পর এক সাম্প্রদায়িক মন্তব্যকরতে থাকেন টুইটারে। শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করেই কুরুচিকর ভাষায় করতে থাকেন টুইট।
এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রঙ্গোলির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরিচালক রিমা কাগতি থেকে অভিনেত্রী কুবরা সেট রঙ্গোলির বিরুদ্ধে সমালোচনায় সামিল হন।
মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে রিমা লেখেন, “আপনারা দয়া করে এই ধরনের উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। এটা কি ভুয়ো খবর ছড়ানো নয়?” নেটাগরিকদের একাংশও রঙ্গোলির অ্যাকাউন্টটিকে রিপোর্ট করেন।
এর পরেই টুইটার কর্তৃপক্ষ রঙ্গোলির অ্যাকাউন্টটি সাসপেন্ড করে দেন।
বেশ কিছু দিন ধরেই একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে আপত্তিজনক পোস্ট করে চলেছিলেন রঙ্গোলি। এর আগেও টুইটার থেকে তাঁকে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো পোস্ট না করার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হতে পারে সে বিষয়েও সাবধান করেছিল টুইটার। যদিও রঙ্গোলি সে সব কিছুকে পাত্তা না দিয়ে লিখেছিলেন, ‘টুইটার আমায় অ্যাকাউন্ট লক করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। মানে মোদ্দা কথা হল, প্রধানমন্ত্রীকে সন্ত্রাসবাদী বলা যায়, হিন্দু দেবদেবীকে নকল করা যায়, শিল্পীদের রেপ থ্রেট দেওয়া যায়, কিন্তু এক বিশেষ সম্প্রদায় সম্পর্কে সোচ্চার হলেই তখন টুইটারের বেশ খারাপ লাগে।’
আরও পড়ুন- প্রয়াত ‘খুবসুরত’, ‘কামসূত্র’ খ্যাত অভিনেতা রঞ্জিত চৌধুরি, শোকপ্রকাশ বলিউডের
এখানেই থামেননি রঙ্গোলি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘টুইটার কী চায়? সকালবেলা সবাইকে লিখব, ‘গুডমর্নিং এভরিওয়ান, এই হল আমার চা’। এই সব বোকা বোকা কাজ করার সময় কার আছে?’
তিনি এ-ও জানান, টুইটার যদি তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেও দেয়, তিনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে কঙ্গনার ভিডিয়ো বানাবেন। কঙ্গনা রানাউতের ম্যানেজার রঙ্গোলি। তাঁর যাবতীয় শুটিং শিডিউল তিনিই করে থাকেন। টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর যদিও অন্য কোনও সোশ্যাল মাধ্যম থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি রঙ্গোলি। মুখ খোলেননি বোন কঙ্গনাও।
আরও পড়ুন- লকডাউনের সময় মুম্বইতে অমিতাভের পাশে নেই জয়া!
বিতর্ক অবশ্য রঙ্গোলির জীবনে নতুন নয়। এর আগে বহুবার বাগবিতন্ডায় জড়িয়েছেন তিনি। বলিস্টারদের পড়তে হয়েছে তাঁর রোষের মুখে। এর আগে মোদীর উচ্চারণ নিয়ে মজা করায় টুইঙ্কল খন্নাকে যৌনতা নিয়ে বিঁধেছিলেন তিনি। কঙ্গনা ‘পদ্মশ্রী’ পাওয়ার পর আলিয়া ফুল পাঠিয়েছিলেন, সে নিয়েও আলিয়াকে কটু কথা শুনিয়েছিলেন রঙ্গোলি। জামিয়া কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় মহেশ ভট্টকে তাঁর মেয়ে পূজা ভট্টের সঙ্গে জড়িয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন রঙ্গোলি চান্ডেল।