শুধু যে ফাঁকা স্তুতি নয়, কথার সঙ্গে জড়ানো কঙ্গনার আবেগেই তা স্পষ্ট। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৩ সালের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত ধরা থাকল অস্কার মঞ্চে। ১২ মার্চ (ভারতীয় সময়ে ১৩ মার্চ) লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটার করতালিতে ফেটে পড়েছে। দু’খানা অস্কার ঝুলিতে পুরেছে ভারত। পাশাপাশি অস্কারের মঞ্চে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। কালো পোশাকে তাঁর জৌলুস বিশ্ববাসীর চোখকে আরাম দিয়েছে, সেই সঙ্গে তাঁর উপস্থাপনাও ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। দীপিকার পারফরম্যান্সে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত আর এক বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
দীপিকাকে প্রশংসায় ভরিয়ে কঙ্গনা সমাজমাধ্যমে লিখলেন, “এমন এক মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব হাসিমুখে সামলানো সহজ কথা নয়। গোটা জাতিকে তুলে ধরেছে দীপিকা, ওর ওই সুন্দর দু’কাঁধে দেশের গৌরব ছড়িয়ে পড়েছে। কী সুন্দর ওর অভিব্যক্তি! অসাধারণ কথা বলার ভঙ্গি আর আত্মবিশ্বাস। আমি মুগ্ধ। দীপিকা প্রমাণ করে দিল যে, ভারতের নারীরাই সেরা।”
শুধু যে স্তুতি নয়, কথার সঙ্গে জড়ানো কঙ্গনার আবেগেই তা স্পষ্ট। ‘কুইন’ ভাগ করে নিয়েছেন অস্কার মঞ্চে দীপিকার বক্তৃতার ভিডিয়োও।
‘নাটু নাটু’ গানের পারফরম্যান্সের আগে মঞ্চে শিল্পীদের আহ্বান জানান দীপিকা। কালো গাউনে অস্কারের মঞ্চে অপরূপা অভিনেত্রী। তিনি মঞ্চে উঠতেই হাততালিতে ভরে যায় ডলবি থিয়েটার প্রেক্ষাগৃহ। বার কয়েক কথা বলা থামাতেও হয় তারকাকে। তার পরেই ‘নাটু নাটু’ গানের পারফরম্যান্সের জন্য শিল্পীদের মঞ্চে ডেকে নেন দীপিকা। দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেন ‘আরআরআর’-এর জন্য।
দীপিকার পরনে ছিল লুই ভিতোঁর কালো রঙের বল গাউন, হাতে কালো গ্লাভস। গলায় কার্টিয়ার সংস্থার হিরের নেকলেসের সঙ্গে পোখরাজের লকেট। হাতে হিরের ব্রেসলেট ও আংটি। খোলা চুল নয়, মেসি বানেই দীপিকার সাজ ছিল অনন্য! খুব বেশি চড়া মেকআপ নয়, হালকা বেস, ন্যুড লিপস্টিক আর উইঙ্গড আইলাইনার দিয়েই দীপিকা সেরেছিলেন সন্ধ্যার সাজ! ঠিক যেন আশির দশকের হলিউডের অভিনেত্রীর নজরকাড়া বেশ, সেই সঙ্গে ধরে রেখেছিলেন ধারালো ব্যক্তিত্ব। তাতেই মোহিত কঙ্গনা গর্ব অনুভব করলেন ভারতীয় নারী হিসাবে।