নেতিবাচক চিন্তা তাঁর ধারেকাছে ঘেঁষে না।
পাহাড়ের খাঁজে স্বপ্নের মতো এক বাড়ি। কাঠের দেওয়াল, তার গায়ে ভিতরের দিকে খোপ খোপ পাথরের নকশা। পাশে বয়ে চলা ঝরনা, নীচে চপলা নদী। বারান্দায় দাঁড়িয়ে অনন্ত প্রকৃতির মুখোমুখি কঙ্গনা রানাউত। শান্তিতে বিভোর। নিজের জীবনে ঘটে চলা একের পর এক শুভ মুহূর্তের ছবি এ ভাবেই ভাগ করে নেন অভিনেত্রী।
তাঁকে নিয়ে বিতর্কের পাহাড় নিমেষে দূরে সরে যায়, নতুন কঙ্গনাকে আবিষ্কার করতে মেতে ওঠেন নিন্দকরাও। এই তো বেশ মুম্বই-দিল্লি ঘুরে ঘুরে কাজ করছিলেন। আবার কোথায় গেলেন কঙ্গনা? এ কি কোনও স্বপ্নপুরী? ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখে প্রশ্নের পাহাড়।
অন্দরসজ্জা যতটা সাবেকি, ততটাই পাহাড়ি।
না, স্বপ্ন নয়। ঘোর বাস্তব। জানা গেল, হিমাচলের মানালিতে নতুন বাড়ি হয়েছে ‘কুইন’-এর। ছবিগুলো সেই বাড়িরই। তার অন্দরসজ্জাও নিজেই করেছেন অভিনেত্রী।
কাঠের মেঝেয় পাতা রঙিন গালিচা। সমুদ্র-নীল জানলার সাজ। হাল-ফ্যাশনের উপকরণেও মন ভাল করা সাবেক সজ্জা। সে বাড়ির ভিতরে সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা মজুত। এক-একটা ঘরের মোলায়েম রং এক এক মেজাজের সঙ্গী। বসার ঘরের পিছন দিকটায় দোতলায় ওঠার সিঁড়ির পাশে রয়েছে বিলিয়ার্ড খেলার জায়গাও।
পাহাড়ের কোলে এই নতুন ঠিকানার ছবি অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘উৎসাহী ডিজাইনারদের জন্য দরজা খুলে দিলাম। যাঁরা পাহাড় ভালবাসেন, পাহাড়ের গায়ে মানানসই ঘরের স্বপ্ন দেখেন, তাঁদের জন্য রইল এই বাড়ি। যার অন্দরসজ্জা যতটা সাবেকি, ততটাই পাহাড়ি।'
নেটমাধ্যমে ছবি দেখে কঙ্গনার সব ক’টা ঘর পরখ করেছেন অন্দরসজ্জা-শিল্পীরা। কদরও করেছেন অনেকে। এ মেয়ের যে কত গুণ, মুগ্ধতায় ভেসেছেন অনুরাগীরাও।
দোতলায় ওঠার সিঁড়ির পাশে রয়েছে বিলিয়ার্ড খেলার জায়গাও