কঙ্গনা রানাউত।
অস্কারের দৌড়ে এ বার মালায়ালি ছবি ‘জাল্লিকাট্টু’। ৯৩ তম বছরের অস্কারে সেরা বিদেশি ছবি বিভাগের জন্য ভারতের তরফ থেকে ‘জাল্লিকাট্টু’কে বেছে নেওয়া হয়েছে ।
‘ছলাঙ্গ’ ‘দ্য স্কাই ইজ পিঙ্ক’, ‘ছপাক’, ‘শকুন্তলা দেবী’, ‘গুলাবো সিতাবো’র মতো ২৭টি ছবির মধ্যে থেকে ‘জাল্লিকাট্টু’ মনোনীত হয়েছে। বলিউডকে পিছনে ফেলে আঞ্চলিক ছবির এগিয়ে যাওয়ায় বেজায় খুশি কঙ্গনা রানাউত। টুইটে তিনি লিখলেন--
‘বলিউডের গ্যাং যে সমস্ত নিন্দা এবং সমালোচনা পেয়েছে, তা অবশেষে সার্থক হল। ভারতীয় ছবি শুধু ৪টি পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মুভি মাফিয়া গ্যাং এখন নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে থেকে জুরি এবং বিচারকদের নিজের মতো করে কাজ করতে দিচ্ছে। জাল্লিকাট্টুর টিমকে অনেক শুভেচ্ছা’।
তবে এই প্রথম নয়,এর আগেও আঞ্চলিক ছবির সমর্থনে কথা বলেছিলেন কঙ্গনা। তার সঙ্গেই বলিউডে তৈরি ছবির গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ করেছিলেন, ডাব করা সেরা সব আঞ্চলিক ছবিগুলি সারা ভারত জুড়ে মুক্তির সুযোগ পায় না অথচ ডাব করা হলিউড ছবিগুলি বিভিন্ন জায়গায় মুক্তি পায়। এর কারণ হিসাবে তিনি বলিউডে তৈরি ‘নিম্ন মান’ এর সব ছবি এবং মিডিয়ার হলিউডের ছবিকে নিয়ে উদ্দীপনা তৈরির প্রবণতাকে দায়ি করেছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগের বছরে জোয়া আখতারের ‘গলি বয়’ ভারতের তরফ থেকে অস্কারে মনোনীত হলে, সেই ছবিকেও ‘মাঝারি’ মানের বলে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা।
আরও পড়ুন: থিয়েটারকে জীবনের অনেক সময় দিয়েছি, এ বার ছবিকে দিই: ব্রাত্য বসু
১৪ বছর আগে, ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ ছবি দিয়ে বলিউডে পথ চলা শুরু করেন তিনি। এরপর একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়ে বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেন ‘আউটসাইডার’ কঙ্গনা। পাশপাশি স্বজনপোষণ, নেপোটিজম, দলবাজি নিয়ে কথা বলে, প্রায় সমগ্র ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেই বৈরিতা তৈরি করে ফেলেন তিনি। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য বলিউডকে কাঠগড়ায় ওঠালে তা আরও প্রকট হয়। সেই বলিউডকে ছাপিয়ে মালায়ালি ছবির মনোনীত হওয়া কি তাই এত খুশি করছে কঙ্গনাকে?
আরও পড়ুন: সামান্য প্রতিদান! ১৪ জন বন্ধুকে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা করে দিয়েছিলেন জর্জ ক্লুনি, কেন জানেন