দিলজিৎ দোসাঞ্জ, কঙ্গনা রানাউত ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
কৃষক আন্দোলনের নামে প্রকাশ্যে ‘সন্ত্রাস’ চলছে দেশে। আর যাঁরা এই সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছেন বা উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেককে জেলে পাঠানো উচিত, মত কঙ্গনা রানাউতের। মঙ্গলবার সাধারণতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিল, লালকেল্লায় খলিস্তানি পতাকা উত্তোলন ও পুলিশের সঙ্গে কৃষকদের সঙ্ঘাত নিয়ে দিনভর উত্তাল ছিল দেশ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার পর্যন্ত সমাজ মাধ্যমে একের পর এক টুইট করে তা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্গনা। কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত সমর্থক অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘এর আগে এই ধরনের সন্ত্রাসের ভয়েই নাগরিকত্ব অধিকার আইন কার্যকর করা যায়নি। আমি নিশ্চিত, কৃষি আইনও এ ভাবেই আটকে যাবে। ভোট দিয়ে আমরা জাতীয়তাবাদী সরকার এনেছি ঠিকই। তবে আখেরে বার বার জিতে যাচ্ছে এই জাতীয়তাবাদ বিরোধীরাই’।
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে এর আগেও মতামত জানিয়েছেন কঙ্গনা। কৃষকদের ‘সন্ত্রাসবাদী’দের সঙ্গে তুলনা টেনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার লালকেল্লার ঘটনায় সেই পুরনো প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। সমালোচকদের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘কৃষকদের সন্ত্রাসবাদী বলেছিলাম বলে ছ’টা সংস্থা আমার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, ওই মন্তব্যের জন্যই আমাকে তারা সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করতে দিতে পারছে না। আজ আমি বলছি, প্রত্যেকটি ভারতীয়, যাঁরা কৃষকদের এই দাঙ্গাকে সমর্থন করছেন, তাঁরা নিজেরাও এক একজন সন্ত্রাসবাদী’।
কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে গত মাসেই কঙ্গনার সঙ্গে এক দফা টুইট যুদ্ধ হয়েছিল পাঞ্জাবি অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের। সেখানে অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার বিরুদ্ধেও কৃষকদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন কঙ্গনা। বলেছিলেন, ‘ইসলামপন্থী ও ভারতবিরোধী সংস্থাগুলির থেকে প্রশংসা আদায় করার জন্যই প্রিয়ঙ্কা কৃষকদের সমর্থন করছেন। বিদেশে কাজ পাওয়ার জন্যই এ সব করে থাকেন তিনি। মঙ্গলবারের ঘটনায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনকারীদের জেলে পাঠানোর কথা বলে কঙ্গনা দিলজিৎ আর প্রিয়ঙ্কাকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছেন অনেকে। টুইটারে দিলজিৎ আর প্রিয়ঙ্কার নাম উল্লেখ করে আক্রমণও করেছেন কঙ্গনা। লালকেল্লায় খলিস্তানি পতাকা উত্তোলনের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘দিলজিৎ আর প্রিয়ঙ্কা, তোমাদের এই ঘটনার ব্যখ্যা দিতেই হবে। আজ গোটা বিশ্ব আমাদের দেখে হাসছে! এটাই তো চেয়েছিলে তোমরা। অভিনন্দন’।