কঙ্গনা রানাউত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সাম্প্রদায়িক বিভেদ এবং ধর্মীয় উত্তেজনা’ তৈরির অভিযোগে গত অক্টোবর মাসে কঙ্গনা রানাউত ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্ডেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে মুম্বই পুলিশ। সেই মামলায় বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিজেদের বয়ান রেকর্ড করতে শুক্রবার বান্দ্রা থানায় যান তাঁরা।
এর আগে তিন দফায় কঙ্গনা এবং তাঁর দিদিকে বয়ান রেকর্ডের জন্য নোটিস পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু আইনজীবী মারফৎ কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে হিমাচল প্রদেশে আটকে থাকায় তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসতে পারেননি। কিন্তু আদালত তাঁদের যুক্তি মেনে নেয়নি। অবশেষে বেলা ১টা নাগাদ তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন কঙ্গনা।
বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং এম এস কারণিকের ডিভিশন বেঞ্চ কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করে মুম্বই পুলিশকে। প্রাথমিক ভাবে তাঁদের মনে হচ্ছে, কঙ্গনা এবং তাঁর দিদির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রোদ্রোহিতার অভিযোগ ভুল ভাবে আনা হয়েছে।
কেউ সরকারের সঙ্গে একমত না হলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যুক্তিযুক্ত? প্রশ্ন তোলে আদালত। আগামী ১১ জানুয়ারি ফের এই মামলা আদালতে উঠবে।
শুক্রবার সকালে কঙ্গনা টুইটারে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে অভিযোগ করেন, দেশের মানুষ এবং কৃষকদের হয়ে আওয়াজ তোলায় তাঁকে ইচ্ছাকৃত ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। দেশবাসীর কাছে তাঁর অনুরোধ, “আমি আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এ বার আপনারা আমার পাশে দাঁড়ান।”
আরও পড়ুন: সৃজিত আমার খুব প্রিয়, মিথিলা ও আয়রার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয়: তাহসান
ইদানীংকালে, অভিনয়ের থেকে বেশি রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মন্তব্যের কারণে শিরোনামে উঠে এসেছেন কঙ্গনা। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর জন্য প্রায় গোটা বলিউডকে কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তদন্তে কারচুপির অভিযোগ এনেছিলেন মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে। এর পর মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা, এই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই বৃহণ্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তাঁর পালি হিলের অফিস ভাঙতে আসা, আদালতে একাধিক মামলায় অভিনেত্রী বর্তমানে যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: একটি ছবিতেই রাতারাতি জনপ্রিয়, মাধুরীর ঘুম কেড়ে নেওয়া সেই ফারহিন আজ বিস্মৃত