Dessert

ডায়েট করছেন বলেই কি পয়লা বৈশাখে মিষ্টি বাদ! কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা?

ওজন কমাতে হলে চিনি বাদ দিতে হবে। সেই নীতিতেই বিশ্বাসী? তা হলে কি পয়লা বৈশাখেও মিষ্টিমুখ করবেন না? শেষ পাতের মিষ্টি নিয়ে কী মত পুষ্টিবিদদের?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫২
Share:
ওজম কমাতে চাইছেন বলে কি নববর্ষের মিষ্টিও বাদ যাবে?

ওজম কমাতে চাইছেন বলে কি নববর্ষের মিষ্টিও বাদ যাবে? ছবি: আনন্দবাজার ডট কম।

সকাল শুরু হয় ওট্স দিয়ে। দিনভর প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেতে হয় মেপে। জীবন থেকে বাদ গিয়েছে আইসক্রিম, মিষ্টি। তা বলে কি একই নিয়ম খাটবে পয়লা বৈশাখে? রসগোল্লা বা ঘন দুধে ফোটানো রসমালাই দেখে লোভ সংবরণ করে নিজেকে বোঝাতে হবে?

Advertisement

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে শেষ পাতের মিষ্টিমুখ নিয়ে কিন্তু একদম ভিন্ন কথা বলেছেন বি টাউনের নামজাদা পুষ্টিবিদ রুজতা দিবেকর। অভিনেত্রী করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ হিসেবে তাঁকে সকলে চিনলেও আলিয়া ভট্ট থেকে করিশ্মা কপূর-সহ বলিউডের অনেক তারকাই ডায়েটের ব্যাপারে রুজুতার পরামর্শ মানেন।

তিনিই বলছেন, শেষ পাতের মিষ্টি কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে না ভেবে পরিমিত পরিমাণে খেলেই ঝামেলা মিটে যায়। একটি পডকাস্টে শেষ পাতের মিষ্টি নিয়ে কথা বলার সময়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনও কাঠবাদামের ময়দার (আমন্ড ফ্লাওয়ার) কেক, মিলেট কেক ছুঁয়ে দেখিনি। খেতে হলে চিনি, মাখন, ময়দা দেওয়া কেকই খাব।’’ রুজুতার স্পষ্ট কথা, স্বাস্থ্যকর ডেসার্টে বিশ্বাসী নন তিনি। বরং তাঁর কাছে দৈনন্দিন খাবার স্বাস্থ্যকর হতে পারে। জীবন থেকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালোরি বাদের অর্থ হল আনন্দই চলে যাওয়া।

Advertisement

রুজুতার কথায়, “খেতে হলে সবটাই খাওয়া দরকার। কুসুম ছাড়া ডিম, ফ্যাট ছাড়া দুধ! এ সব অর্থহীন।” একই যুক্তি দেখিয়ে দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থের পুষ্টিবিদ রিচা চতুর্বেদী বলছেন, “শেষ পাতের মিষ্টিমুখে কোনও সমস্যা নেই। তবে পরিমাণ বোঝা জরুরি।” তাঁর সংযোজন, ‘‘মিষ্টি খেতে হলে চিনি দেওয়া মিষ্টি খাওয়াই ভাল, মিষ্টির বদলে সুগার-ফ্রি, চকোলেট দিয়ে ক্যালোরি কমানোর দাবির যৌক্তিকতা থাকে না সব সময়। বরং পরিমিত ডেসার্ট এক দিন খেলে, সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে খাওয়ার ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement