প্রথম ছবিতেই আকাশছোঁয়া সাফল্য। হিন্দি সিনেমার দর্শকরা ভেবেছিলেন, এই তন্বী অনেক দূর যাবেন। কিন্তু তাঁদের সব আশা ব্যর্থ হয়েছিল। শেষে ব্যর্থতার হতাশায় স্মাইলি সুরী হয়ে পড়েন অবসাদগ্রস্ত।
১৯৮৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্মাইলির জন্ম মুম্বইয়ে। তাঁর দাদা মোহিত সুরী বলিউডের পরিচালক। এ ছাড়াও আরও অনেক বলিউডি তারকা স্মাইলির আত্মীয়।
পরিচালক মহেশ ও মুকেশ ভট্ট সম্পর্কে মামা হন স্মাইলির। ইমরান হাসমি, পূজা ভট্ট, আলিয়া ভট্ট এবং রাহুল ভট্ট সবাই তাঁর তুতো ভাইবোন।
ছোট থেকেই নাচ ভালবাসতনে স্মাইলি। টানা পাঁচ বছর ধরে তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলিউডের কোরিয়োগ্রাফারদের কাছে। পাশাপাশি শিখেছেন কত্থক-ও।
২০০৫ সালে তাঁর আত্মপ্রকাশ হিন্দি ছবিতে। দাদা মোহিত সুরীর পরিচালনায় ‘কলিযুগ’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেন স্মাইলি। তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন কুণাল খেমু। বক্স অফিসে চূড়ান্ত সফল হয় ছবিটি।
এর পর আরও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেন স্মাইলি। ‘ইয়ে মেরা ইন্ডিয়া’, ‘তিসরি আঁখ’, ‘ক্রুক’, ‘ক্র্যাকার্স’-এর মতো ছবি তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে উল্লেখযোগ্য। তবে কোনও ছবিতেই তিনি প্রথম ছবির সাফল্যের ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি।
ক্রমেই স্মাইলির কাছে কাজের সুযোগ কমতে থাকে। ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়েই যান তিনি। ২০১০-এর পরে তাঁর কোনও ছবি মুক্তি পায়নি।
স্টারডম ফিকে হতে শুরু করায় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন স্মাইলি। গত বছর ফের খবরে ফিরে আসেন তিনি। তখন অবশ্য তাঁকে চেনাই দুষ্কর! অবসাদ এবং থাইরয়েডে আক্রান্ত স্মাইলির ওজন তখন আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে স্মাইলি তখন পোল ডান্সের শরণাপন্ন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, জীবন থেকে অবসাদমুক্ত হতেও পোল ডান্স তাঁকে সাহায্য করেছে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি স্মাইলি অবসাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবনেও।
২০১৪ সালে স্মাইলি বিয়ে করেছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত নৃত্যপ্রশিক্ষক বিনীত বাঙ্গেরাকে। ‘নাচ বালিয়ে’-এর সপ্তম সিরিজে অংশও নেন তাঁরা। তবে তাঁদের দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২০১৯-এ বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
এ ছাড়াও স্মাইলি জানান, ২০১৭-এ তাঁর বাবা এবং ঠাকুমার মৃত্যু তাঁর জীবনে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করে। ক্রমশ একাকিত্ব তাঁকে গ্রাস করতে থাকে। এ ছাড়াও নানা কারণে তিনি সে সময় অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
স্মাইলি জানিয়েছেন, চিকিৎসার পাশাপাশি পোল ডান্স আর যোগাভ্যাস তাঁকে অবসাদমুক্ত হতে সাহায্য করেছে। ছোট থেকেই শরীরচর্চা করতেন তিনি। আগ্রহ ছিল নাচেও। ফলে সহজেই পোল ডান্স আয়ত্ত করেছেন তিনি।
দুবাইয়ে গিয়ে প্রথম পোল ডান্স করেন স্মাইলি। সেখান থেকে প্রশিক্ষক এনে পরে চর্চা করেন। তিনি এখন একজন পেশাদার পোল ডান্সার। তাঁর মত, ভারতে পোল ডান্স আরও জনপ্রিয় হওয়া প্রয়োজন। (ছবি: ফেসবুক)