তারকা সংযোগ থাকলেই যে সাফল্য আসে না, এমন নজির বলিউডে কম নেই। সে রকমই এক জন তানিশা মুখোপাধ্যায়। তনুজার মতো দাপুটে অভিনেত্রী তাঁর মা। দিদি, সুপারস্টার নায়িকা কাজল। বাবা সমু মুখোপাধ্যায় ছিলেন বলিউডের প্রযোজক। তার পরেও তানিশার বলিউড অভিযান ব্যর্থ।
বলিউডের সঙ্গে কয়েক প্রজন্মের গভীর সম্পর্ক মুখোপাধ্যায় পরিবারের। তানিশার ঠাকুরদা শশধর মুখোপাধ্যায় ছিলেন বিখ্যাত প্রযোজক। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ফিল্মালয় স্টুডিয়োর।
শশধরের ছেলে সমু ছিলেন একাধারে পরিচালক-কাহিনিকার-প্রযোজক। শশধর এবং অশোককুমারের বোন সতীরানি দেবীর ছেলে সমু বিয়ে করেছিলেন নায়িকা শোভনা সমর্থের মেয়ে তনুজাকে।
সমু-তনুজার ছোট মেয়ে তনিশার জন্ম ১৯৭৮-এর ৩ মার্চ। দিদি কাজলের থেকে তনিশা চার বছরের ছোট। দুই বোনের শৈশবেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় সমু-তনুজার। সন্তানদের সিঙ্গল পেরেন্ট হয়ে বড় করেন তনুজা।
বলিউডে তনিশার প্রথম ব্রেক ২০০৩ সালে। ‘শশশশ...’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন করণনাথের বিপরীতে। কিন্তু বক্স অফিসে ছবিটি সাফল্য পায়নি।
এর পর ‘নীল অ্যান্ড নিকি’, ‘পপকর্ন খাও মস্ত হো যাও’, ‘সরকার রাজ’, ‘ট্যাঙ্গো চার্লি’-সহ বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও ছবিতেই পাননি প্রত্যাশিত সাফল্য।
দিদি কাজল যেমন ইন্ডাস্ট্রি জয় করেছিলেন নিজের প্রতিভায়, তাঁর বোন পারেননি। হিন্দি ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যর্থ হয়ে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার তৈরির চেষ্টা করেন তানিশা।
তিনি অভিনয় করেন তামিল ও তেলুগু ছবিতে। কিন্তু হিন্দির মতো সেখানেও অধরা সাফল্য। কাজ করেছেন ভিডিয়ো জকি হিসেবেও।
বড় পর্দায় অসফল তানিশাকে দেখা গিয়েছে ছোট পর্দাতেও। ‘বিগ বস’-এর চারটি মরসুমে প্রতিযোগী ছিলেন তানিশা। বিগ বস সেভেনে তিনি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন। বিগ বস ছাড়াও কিছু রিয়্যালিটি শো-এ অংশ নেন তিনি।
সুন্দরী তানিশা এখনও অবিবাহিত। তবে তাঁকে নিয়ে গুঞ্জনের অভাব নেই ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘নীল অ্যান্ড নিকি’ ছবির সহঅভিনেতা উদয় চোপড়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু তাঁদের প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
এ ছাড়া আরমান কোহালির সঙ্গেও তানিশা ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে শোনা যায়। কিন্তু তাঁর এই সম্পর্কও দানা বাঁধেনি।
কেরিয়ারে ব্যর্থতা সত্ত্বেও দিদি কাজলের সঙ্গে তানিশার সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। কেরিয়ারের রেষারেষি স্থান পায়নি ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঘেরাটোপে।