(বাঁ দিকে) কর্ণ জোহর, কাজল। ছবি: সংগৃহীত।
কর্ণ জোহর পরিচালিত প্রথম ছবির অন্যতম নায়িকা ছিলেন কাজল। তার আগে ১৯৯৫ সালে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে পরিচালক আদিত্য চোপড়ার সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন কর্ণ। সেই ছবিতেও নায়িকা ছিলেন কাজলই। ‘ডিডিএলজে’-র তিন বছর পরে ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় কর্ণ পরিচালিত প্রথম ছবি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। সেই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান, কাজল ও রানি মুখোপাধ্যায়। সেই ছবির সেটেই নাকি একটানা ৪৫ মিনিট ধরে কর্ণের সঙ্গে ঝগড়া করেছিলেন কাজল!
পরিচালক হিসাবে কর্ণের প্রথম ছবি। সেই ছবির সেটেই এমন কী হল যে, তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করে দিলেন কাজল? নায়িকা বলেন, ‘‘আমি খুব ঝগড়া করেছিলাম কর্ণের সঙ্গে। আমি আসলে টিনার চরিত্রটায় অভিনয় করতে চেয়েছিলাম, যেটায় রানি অভিনয় করেছিল। কর্ণ আমার কোনও কথা শুনতে চাইছিল না। আমাকে অঞ্জলির চরিত্রেই অভিনয় করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিল ও। আর এ দিকে আমি ওকে বলেই যাচ্ছি যে, টিনার চরিত্রটা আমি অন্য রকম ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারব। কর্ণ কিছুতেই শুনছে না আমার কথা। শেষে আমি এত চেঁচামেচি করছিলাম যে, ও আমাকে ধমকে বসিয়ে দিয়েছিল।’’
১৯৯৮ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবির আবেদন অনুরাগীদের কাছে এখনও অমলিন। সেই ছবিতে শাহরুখের দুই নায়িকা ছিলেন— কাজল এবং রানি। স্রেফ বাঙালি নায়িকাই নয়, আদপে একই পরিবারের সদস্য রানি ও কাজল। একে অপরের তুতো বোন। তবে শুটিংয়ের সেটে নাকি তা দেখে বোঝাই যেত না! সম্প্রতি ‘কফি উইথ কর্ণ’-এ কর্ণ জানান, কাজের প্রয়োজন ছাড়া একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলতেন রানি ও কাজল। কর্ণ ওই প্রসঙ্গ তুললে কাজল বলেন, ‘‘আমরা সচেতন ভাবে কোনও দূরত্ব তৈরি করিনি। ওই বয়সে আমরা নিজেদের জায়গা তৈরি করা নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।’’ কাজলের কথার রেশ টেনেই রানি বলেন, ‘‘আমরা ছোট থেকে একে অপরকে চিনি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমনিই দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর এমনিতেও আমাদের পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে কাজল দিদির বন্ধুত্ব বেশি ছিল।’’ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে সেই দূরত্ব অনেক কমে গিয়েছে, তাও স্বীকার করেন তাঁরা দু’জনেই।