দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল কাজলকে? ছবি: সংগৃহীত।
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় ফিনফিনে পোশাকে নায়িকাদের প্রায়ই দেখা গিয়েছে হিন্দি ছবিতে। এতেই অভ্যস্ত এককালের দর্শক। অভিনেত্রীদের কষ্ট হচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন মাথাতেও আসেনি কারও। সম্প্রতি অনতি-অতীতের এক প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন কাজল। ভাগ করে নিলেন ‘ফনা’ ছবির হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা।
২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল আমির খান-কাজল অভিনীত ‘ফনা’। ১৭ বছর পরেও দর্শকের স্মৃতিতে উজ্জ্বল সেই প্রেমঘন ছবি। কিন্তু দর্শকের মনোরঞ্জনের জন্য কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল কাজলকে? সমাজমাধ্যমে লিখলেন নেপথ্যকাহিনি।
পোল্যান্ডে শুটিং হয়েছিল সেই ছবির। মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হাত-পা অসাড়। ‘মেরে হাত মেঁ তেরা হাত হো’ গানের দৃশ্যের শুটিং করেছিলেন কাজল এবং সহ-অভিনেতা আমির খান। বরফে জমে যাওয়া এক হ্রদের উপর দাঁড়িয়ে দু’জনে। ঠান্ডা বাতাসের ছুরি ফালাফালা করে দিচ্ছিল তাঁদের। তার মধ্যে, কাজলের পরনে ছিল শুধুই শিফনের সালোয়ার-কামিজ। আমির অবশ্য মোটা জ্যাকেট পরেছিলেন। কাজলের কথায়, “এত কষ্ট হচ্ছিল যে, ব্যথা করছিল সারা শরীরে। তবু স্বাভাবিক থাকতে চেষ্টা করেছি ক্যামেরার সামনে।” কাজলের দাবি, তাঁর মুখের অভিব্যক্তিতে সেই কষ্টের ছাপ পড়েছিল, অভিনয় করতে হয়েছিল আমিরকে।
গল্প এখানেই শেষ নয়। মুম্বইতে ফিরে গোটা গানটির নতুন করে শুটিং করতে হয়েছিল। কাজল তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশে বলেন, “মহিলাদের ক্ষমতা অনেক। নায়িকাদেরও কুর্নিশ করা উচিত, যাঁরা বিশ্ব জুড়ে এমন কষ্টের মধ্যে কাজ করছেন, এর চেয়েও খারাপ পরিস্থিতিতে কাজ করছেন।” কাজল জানান, জুনি চরিত্রটি তাঁর কাছে চিরকালই প্রিয়।
১৯৯৭ সালে আমির আর কাজলের ‘ইশক’-এর পর ‘ফনা’ দ্বিতীয় কাজ, যেখানে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল কুনাল কোহলি পরিচালিত এই ছবি। এর পর ২০২২ সালে কাজল অভিনীত ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবিতে অতিথি চরিত্রে উপস্থিত ছিলেন আমির।