অজয়ের জন্য চিড় ধরে কাজল-কর্ণের বন্ধুত্বে।
দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব তাঁদের। একসঙ্গে একাধিক সফল ছবি। কর্ণ জোহর বলেন, কাজল না থাকলে হয়তো তাঁর প্রথম ছবিটাই হয়ে উঠত না। অন্য দিকে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজলের হাতে গোনা বন্ধুদের তালিকায় কর্ণের স্থান বেশ উপরের দিকেই। সে কথা একাধিক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছেন ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’র নায়িকা। কিন্তু কয়েক দশক পেরিয়ে ছেদ পড়েছিল সেই বন্ধুত্বেও। কারণ অজয় দেবগণ। বিবাদের সূত্রপাত তাঁরই একটি টুইট করে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
২০১৬ সাল। একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছিল দুই বড় বাজেটের ছবি— কর্ণের ‘অ্যায় দিল হ্যাঁ মুশকিল’, অজয়ের ‘শিবায়’। তখনই অজয়ের একটি টুইট ঘিরে শোরগোল শুরু। একটি রেকর্ড করা বার্তা পোস্ট করেছিলেন তিনি। তাতে স্বঘোষিত ছবি সমালোচক কমল আর খান দাবি করেছিলেন, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’-এর প্রশংসা এবং অজয়ের ‘শিবায়’র নিন্দা করার জন্য তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কর্ণ। এই তথ্য ‘ফাঁস’ হওয়ার পরেই কর্ণের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান অজয়। স্ত্রীর বন্ধুর উপর চিৎকার করে ক্ষোভ উগরে দিতেও পিছপা হননি।
পেশাগত বিবাদ ভেবে সবটাই মেনে নিয়েছিলেন কর্ণ। ভেবেছিলেন, বন্ধু কাজল আস্থা রাখবেন তাঁর উপর। কিন্তু কাজল থাকলেন স্বামীর পাশেই। অজয়ের সেই টুইট শেয়ার করে তিনি লিখেছিলেন, ‘অবাক হলাম’। অর্থাৎ বন্ধু কর্ণের উপর যে তিনি ভরসা হারিয়েছেন, সে কথা আকারে-ইঙ্গিতে একটি টুইটেই বুঝিয়েছিলেন তনুজা-কন্যা। এর পর আর প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি কর্ণ।
আত্মজীবনী ‘অ্যান আনসুটেবল বয়’-এ কর্ণের আফশোস, ’২৫ বছর ধরে কাজলের জন্য যে অনুভূতিগুলো ছিল, তা ও নিজেই শেষ করে দিয়েছে। ওর জন্য আমি আর কিছুই অনুভব করি না।”