জয়া
ধানসিড়ি নয়, কলকাতার বুকেই ২০১৭য় ফিরছেন জীবনানন্দ দাশ। জীবদ্দশায় নানা সম্বোধনে বাঙালি সমাজ চিনেছিল তাঁকে। ‘দুর্বোধ্য’ ‘জটিল’ ‘অর্ধোন্মাদ’ ‘অর্থহীন’ কবি।
‘‘অপমান। অভিমান আর সম্মান সব কিছুকে ঘিরেই জীবনানন্দকে নিয়ে ‘পলাতক’ করব বলে ঠিক করেছি,’’ বললেন ছবির পরিচালক সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়। জীবনানন্দের চরিত্রে অভিনয় করবেন ব্রাত্য বসু। পাশাপাশি দু’জনের ছবি রাখলে পরিচালকের মনে হয়েছে, ‘‘ব্রাত্যদার সঙ্গে জীবনানন্দের অসম্ভব মিল। আর ব্রাত্যদার কাব্যবোধের ছায়াও এই চরিত্রে ধরা থাকবে। এটাও পাওয়া।’’
স্ক্রিপ্ট এখনও শোনা হয়নি। কিন্তু যেহেতু জীবনানন্দ, কবি হিসেবে যিনি এক সময় সমাজ, সভ্যতা, প্রথা, প্রতিষ্ঠান সব কিছুকেই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর চরিত্র বলেই অভিনয় করতে রাজি হয়েছেন ব্রাত্য বসু। ‘‘জানি না জীবনানন্দের জীবনকে কতটা তুলে ধরতে
পারব। কিন্তু এই সংকটের সময় মনে হয় জীবনানন্দ সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক,’’ ব্যস্ততার মাঝে বললেন ব্রাত্য বসু। প্রথাগত বায়োপিকের মধ্যে না গিয়ে এ ছবি যেমন জীবনানন্দের ১৮৯৯-১৯৫৪র আলো-আঁধারিকে ধরবে তেমনই ২০১৭কেও ছুঁয়ে যাবে জীবনানন্দের ‘সোমেন পালিত’ আর ‘সুরঞ্জনা’র চরিত্র পুনর্নিমাণে। এই আজকের সোমেন পালিত আসলে কি জীবনানন্দই?
ব্রাত্য
নির্জনতম কবির স্ত্রীর চরিত্রে থাকবেন জয়া আহ্সান।
‘‘জীবনানন্দের স্ত্রী ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। বিষয়টা অন্য রকম লেগেছিল বলে পরিচালকের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে,’’ সাইকো থ্রিলার শ্যুট করতে করতে ফ্লোর থেকে বললেন জয়া আহ্সান।
জীবনানন্দের মায়ের চরিত্রে অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক স্তরে সকলের সঙ্গেই কথা হয়ে আছে বলে জানালেন পরিচালক। সব ঠিক থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে। সজনীকান্ত ছাড়া জীবনানন্দের জীবন পূর্ণ হয় না। এই সজনীকান্ত চরিত্রের জন্য পরিচালক দেবশঙ্কর হালদারকে ভেবেছেন। আছে আরও চমক। রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে ভাবা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। ছবি স্বপ্ন, বাস্তব, ধোঁয়া, আলোয় ঘুরবে—ঠিক যেমন আসল জীবনের জীবনানন্দ।