বাবা জনি লিভারের সঙ্গে কন্যা জেমি লিভার। ছবি: সংগৃহীত।
মানুষের বহিরঙ্গ দিয়ে বিচার করা হয় প্রায়শই। শরীরে মেদ বেশি হলে মোটা, কম হলে আবার কেন রোগা সেই নিয়ে জবাবদিহি করতে হয়। ঠিক তেমনটাই করতে হয় কৌতুকশিল্পী জেমি লিভারকে। তিনি খ্যাতনামী কৌতুকাভিনেতা জনি লিভারের কন্যা। বাবার মতো মানুষকে হাসানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন জেমি। যদিও ছোটবেলা থেকেই নিজের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। বড় পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় শরীরের নিম্নাঙ্গ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জেমি জানান, ছোটবেলা থেকেই শরীর নিয়ে নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। কেউ বলেছেন নাক কেটে ঠিক করতে হবে। কেউ আবার তাঁর নিতম্ব আকারে বড় বলেই বিব্রত করেছেন। এক সময় চেহারার গঠন তাঁর আত্মবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেয়। নানা জনের নানা মন্তব্য মনে গভীর ভাবে আঘাত করে। ছোটবেলা থেকেই স্থূলকায় ছিলেন। সঙ্গে ছিল পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম যার কারণে ওজন কমানোর জন্য অনেক কিছু করতে হয়েছে তাঁকে। জেমির কথায়, ‘‘আমাকে সব সময় বলা হত নিতম্ব এত বড় যে আমার লজ্জা পাওয়া উচিত, আমার শরীরের সেই অঙ্গ ঢেকে রাখাই শোভনীয়। তাই, ছোটবেলায় আমি সব সময় লম্বা টি-শার্ট এবং কুর্তি দিয়ে আমার শরীরের নিচের অংশ ঢেকে রাখতাম।’’ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জেমি বুঝতে পারেন তাঁর শরীরের গঠন যথেষ্ট সুন্দর। তিনি বলেন, ‘‘আমি বড় হওয়ার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। এখন দেখি অনেকেই আমার মতো শারীরিক গঠন চায়।’’ তবে এর জন্য কিম কর্দাশিয়ানকেও খানিক কৃতিত্ব দিতে চান তিনি। কারণ ‘আওয়ার গ্লাস’-এর মতো এক বিশেষ ধরনের শরীরের গঠনকে তিনি জনপ্রিয় করে তুলেছেন। এখন অন্যরাও এই ধরনের শারীরিক গঠন চাইছেন।