হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে প্রত্যাশা জাগানো সূত্রপাত। কিন্তু তার পরেও তিনি হারিয়ে গেলেন বিস্মৃতির অন্ধকারে। নায়িকা জিবিধা শর্মার নাম আজ মনেই পড়ে না দর্শকদের।
দিল্লির এক পঞ্জাবি ব্যবসায়ী পরিবারে জিবিধার জন্ম ১৯৮০ সালের ১০ ডিসেম্বর। বহিরাগত হিসেবেই শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। ১৯৯৮ সালে প্রথম অভিনয় তামিল রোমান্টিক ছবি ‘কড়ালে নিম্মাধি’ ছবিতে।
বলিউডে সুযোগ আসে পরের বছরেই। ১৯৯৯ সালে সুভাষ ঘাইয়ের পরিচালনায় ‘তাল’ ছবিতে পার্শ্বনায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।
তবে জিবিধার কেরিয়ারে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘ইয়ে দিল আশিকানা’। ২০০২ সালে কুকু কোহালির পরিচালনায় এই ছবিতে করণনাথের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন জিবিধা।
বক্স অফিসে হিট হয়েছিল ছবিটি। জনপ্রিয় হয়েছিল ছবির গানও। কিন্তু প্রত্যাশিত জায়গা পাননি জিবিধা। বলিউডে সুযোগ না পেয়ে জিবিধা চলে যান দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে।
১৯৯৯ থেকে ২০১৩ অবধি বেশ কিছু তামিল, তেলুগু, হিন্দি এবং পঞ্জাবি ছবিতে অভিনয় করেন জিবিধা। কিন্তু একটা সময়ের পর সেখানেও কাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
হিন্দি ও দক্ষিণী ভাষার ছবির পাশাপাশি জিবিধা অভিনয় করেছেন পঞ্জাবি ছবিতেও। গুরুদাস মানের সঙ্গে জুটি বেঁধে তাঁর প্রথম পঞ্জাবি ছবি ছিল ‘মিনি পঞ্জাব’। এর পর ‘দিল লে গ্যয়ি কুড়ি পঞ্জাব দি’, ‘লায়ন অব পঞ্জাব’, ‘দিল সাড়া লুটিয়া গ্যয়া’-সহ বেশ কিছু পঞ্জাবি ছবিতে জিবিধা ছিলেন নায়িকা।
প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতেই সূত্রপাত ভাল করেও শেষ অবধি নিজের কেরিয়ার দীর্ঘ করতে পারেননি জিবিধা। সিনেমা থেকে হারিয়ে গিয়ে কাজ শুরু করেন মিউজিক ভিডিয়ো এবং বিজ্ঞাপনে।
সরোজ খানের কাছে প্রশিক্ষিত জিবিধা ছিলেন দক্ষ নৃত্যশিল্পী। কিন্তু এই দক্ষতাকে তিনি নিজের কেরিয়ারের তুরুপের তাস করতে পারেননি।
বড় পর্দার তুলনায় জিবিধা বেশি সাফল্য পেয়েছিলেন টেলিভিশনে। ‘তুম বিন যাঁউ কঁহা’, ‘জমিন সে আসমান তক’ সিরিয়ালে জিবিধার অভিনয় জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শকদের কাছে।
তবে ২০১১ সালের পর থেকে বিনোদন দুনিয়ায় জিবিধাকে বিশেষ দেখা যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে গিয়েছিল তাঁর মৃত্যুর ভুয়ো খবরও।
কিন্তু পরে জানা যায়, অভিনয় না করলেও জিবিধা জীবিত এবং সুস্থ। ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের ছবিও দেন।
জানা গিয়েছে, জিবিধা এখন বিবাহিত। বিয়ের পরে তাঁর নতুন পরিচয় জিবিধা অষ্ট।
নামী নৃত্য প্রতিষ্ঠানে তাঁর দুই সন্তান, অষ্টমী এবং বিধানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন জিবিধা। নাচের প্রতি তাঁর নিজের ভালবাসাও এখনও অটুট।
লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরার দুনিয়া থেকে বহু দূরে নিজের জীবন উপভোগ করছেন অতীতের নায়িকা জিবিধা।