যিশু সেনগুপ্ত।— ফাইল চিত্র।
১৯২৯। সেই শুরু। মহালয়ার ভোরে রেডিওতে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ না শুনলে বাঙালির যেন পুজো শুরুই হয় না। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ ডাক পাঠায় বোধনের। বাণী কুমারের লেখা, পঙ্কজ মল্লিকের কম্পোজিশন যেন অলক্ষ্যে ঢাকের বোল তোলে।
১৯৭৫ পর্যন্ত টানা চলে একই ট্র্যাডিশন। ব্রেক হল ১৯৭৬-এ। সে বছর মহালয়ার ভোর বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বদলে শুনল উত্তমকুমারের গলা। সেই একবারই।
না! এ ব্যাপারে উত্তমকুমারকে পাশ মার্কস দেননি বাঙালি। আর সেখান থেকেই তাঁর নতুন ছবির ভাবনা শুরু করেছেন ‘গুলাব গ্যাং’ খ্যাত পরিচালক সৌমিক সেন। বাঙালির অন্দরমহলের এই চিরচেনা সিগনেচার টিউন, তার সংঘাত, ভাল-মন্দের দ্বন্দ্বকে ফ্রেমবন্দি করবেন পরিচালক। ছবিটি পরিবেশনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। খুব তাড়াতাড়ি শুরু হতে পারে এই ছবির শুটিং।
আরও পড়ুন, স্বস্তিকা নন, এ বার ‘দুপুর ঠাকুরপো’দের সামলাবেন শ্রীলেখা!
এ ছবির বড় প্রাপ্তি হতে চলেছেন যিশু সেনগুপ্ত। কারণ তাঁকে দেখা যাবে উত্তমকুমারের ভূমিকায়। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চরিত্রে থাকবেন শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। শুভময় চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে পঙ্কজ মল্লিকের চরিত্রে। এই ছবিতে একটি বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করবেন প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়। যা ছবিটিতে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করবে। এ ছাড়া রুদ্রনীল ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, সপ্তর্ষী রায়ের মতো শিল্পীর অভিনয় দেখার সুযোগ মিলবে এই ছবিতে। মৃণ্ময় নন্দীর ক্যামেরা এবং দেবোজ্যোতি মিশ্রের সঙ্গীত সমৃদ্ধ করবে এই ছবিকে।
আরও পড়ুন, প্রযোজক অনুষ্কাকে নিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা বাঙালি পরিচালকের